সেকশন

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

রাষ্ট্র সংস্কারে যত কমিশন

আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১ এএম

৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশে ফ্যাসিজম বা স্বৈরতান্ত্রিক শাসন পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রোধ এবং জনমালিকানা ভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে কিছু জাতীয়ভিত্তিক সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি বলে মনে করেন উপদেষ্টারা। আর এই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এটিই অভূতপূর্ব সময় ও সুযোগ বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। উক্ত সংস্কার ভাবনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এই রাষ্ট্র সংস্কার কমিশনের জন্য প্রথম দফায় ৬ টি এবং পরবর্তীতে আরও ৫ কমিশন গঠন করা হয়।

গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীসরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। এবার এক নজরে দেখা যাক রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলো।জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

সংবিধান সংস্কার কমিশন

গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীসরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করেন। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম বাদ দিয়ে এ কমিশনের প্রধান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেয় সরকার।

৭ অক্টোবর সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে ৯ সদস্যের ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকার জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেশের বিদ্যমান সংবিধান পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুমোদনক্রমে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’নামে নিম্নরূপ কমিশন গঠন করা হল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন ৬ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

এরপর গত ২ নভেম্বর ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এদিকে ৩ নভেম্বর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরাসরি কোনো সংলাপ করবে না এই কমিশন, তবে প্রতিটি দল কিংবা সাধারণ নাগরিকেরকের কাছ থেকে ওয়েবসাইট কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে লিখিত প্রস্তাব নেওয়া হবে।

এসময় তিনি বলেন, সংবিধান পুনলিখন কিংবা সংস্কারের পুরোটাই নির্ভর করছে অংশীজনদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাবের ওপর। তারা যা চাইবেন কমিশন সেই প্রস্তাব সরকারের কাছে দেবে বলেও জানান আলী রীয়াজ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা দেখছি। তার পাশাপাশি আমরা এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করব। তার মধ্যে দিয়ে আমরা চিহ্নিত করতে পারবো কোন কোন বিষয়গুলো পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন, পুনলিখনের প্রয়োজন আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ আরো জানান, ভবিষ্যতে যেকোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধে সংবিধান সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হবে বলে মত দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং এক ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিষয়ে ব্যাপক জন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে বলে জানান কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

এরপর ২৬ নভেম্বর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সংসদে উচ্চকক্ষ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব রেখে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দেয় বিএনপি। জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রিয়াজের কাছে লিখিত প্রস্তাবটি জমা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেত্বতে ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এরপর সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার সাধারণ মানুষ তাদের প্রস্তাব ও মতামত দিয়েছে। এছাড়া ২৮টি সংগঠন, ২৩ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ৫ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ১০ জন তরুণ চিন্তাবিদের সঙ্গে মত বিনিময় ও আলোচনা করেছে কমিশন। কমিশন এখন সবার মতামতগুলো যাচাই বাছাই বা বিশ্লেষণ করছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশন

অন্তর্বর্তী সরকার ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানায় বিশ্বাস করে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ‘সেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থার  উন্নয়নে আমাদের সংস্কার ভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা  কোনো গোষ্ঠীর কাছে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের কথা বলা হয়।
৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. বদিউল আলম মজুমদার কে প্রধান করে ৮ সদস্যের 'নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন' গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা  হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম সুজন।
এছাড়া সদস্য করা হয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা, ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও ওপিনিয়ন মেকার ড. জাহেদ-উর রহমান, শাসন প্রক্রিয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বিশেষজ্ঞ মীর নাদিয়া নিভিন, ইলেকট্রনিক ভোটিং ও ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

এতে বলা হয়, কমিশন ৩ অক্টোবর হতে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি

এরপর ৪ নভেম্বর রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গঠিত সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে ঢাকায় তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে কমিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার জানান, ১. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ২. অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ চলছে। ৩. জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকার সমন্বয় করা হচ্ছে। ৪. নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে জোর দিচ্ছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৫. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক সংলাপে রয়েছে এই কমিশন। ওই সংলাপের অংশ হিসেবে গত ২৩ নভেম্বর প্রথম ধাপে কমিশন মতবিনিময় করে প্রিন্ট মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে। সেদিন সংস্কারের ছাড়াও নির্বাচনী অপরাধে সাবেক সিইসিদের শাস্তির পরামর্শ দেন সম্পাদকেরা।

ওই বৈঠকে কমিশনের সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন সংস্কার কমিশন। তবে এর আগেই নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার কাজ শেষ করতে চান বলে জানান তিনি।

এরপর ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হয়। অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব বেগম তহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর পর সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এদিকে শপথ নেওয়ার পর নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নাসির উদ্দিন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা বা অন্তর্বর্তী সরকার যখন চাইবেন তখনই নির্বাচন করতে প্রস্তুত ইসি।’ 

সিইসি নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইন্ডিকেশন দিয়েছেন সেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার রাজনৈতিক দল–তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছি।’

এদিকে, গত ১৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বদিউল আলম বলেন, ‘আপনাদের মতো আমরাও সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ আওয়ামী লীগকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো বাধা দেখছি না। তাদের জন্য কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে এমন কিছু দেখছি না। আমরা চাই একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, যারা সকল প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন করতে চায় তারা নির্বাচন করতে পারবে। কোনোরকম বাধা দেওয়া হবে না। আমি আশা করি, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।’

সকল রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে গত ৩ অক্টোবর ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে কমিশন প্রধান করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ভূঞা, সাবেক যুগ্মসচিব ড. রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আকা ফিরোজ আহমেদ ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

এরপর গত ২৪ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উক্ত কমিশন পুনর্গঠন করা হয়।

নতুন তিনজন হলেন- বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. সৈয়দ শাহীনা সোবহান, বিসিএস নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ এবং বিসিএস শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান।

গত ৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুয়িদ চৌধুরী জানান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকলের মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

এছাড়া জনপ্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় শুরু হয়েছে এবং এটি চলমান রয়েছে বলে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন পেশ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সরকারি চাকরি ও পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা বাতিলের সুপারিশ করার কথা জানায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, 'কমিশন সরকারি চাকরি এবং পাসপোর্টের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন অপসারণের সুপারিশ করবে। এছাড়া ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ করবে বলে জানায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

এদিকে, জনপ্রশাসন সচিব ড. মোখলেস উর রহমান জানান, সংস্কার কমিশন মনে করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের বর্তমান কাঠামো বজায় রাখার প্রয়োজন নেই। বরং, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর পরিচালনার জন্য পৃথক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করবে কমিশন। এনিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সমালোচনা।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, উপ-সচিব এবং যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতির জন্য কমিশন পিএসসির পরীক্ষার সুপারিশ করবে। তবে, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতির জন্য কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না বলে তারা মনে করেন।

বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতির ৭৫ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত এবং অন্যান্য ২৫ ক্যাডার থেকে বাকি ২৫ শতাংশ।

সংস্কার কমিশন প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য ক্যাডার থেকে সমান সমান পদোন্নতির সুপারিশ করবে বলে জানান তিনি।

এনিয়ে সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সচিবের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই বিবৃতি দিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডার সমিতি এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। ভিন্ন ভিন্ন দাবি হলেও, সবাই এসব সুপারিশকে 'বৈষম্যমূলক' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন

পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক সচিব সরফরাজ চৌধুরীকে। 
গত ৪ অক্টোবর জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে পাঁচটি কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে পুলিশ সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ সাজ্জাদ আলী, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. গোলাম রসুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা, মানবাধিকারকর্মী এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলান ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান এই কমিশনের প্রধান। সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

গত ২৩ নভেম্বর বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের জন্য একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন (জেআরসি)।

৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ জনগণসহ বিচারক, আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মচারীদের কাছে মতামত চায় কমিশন।ফাইল ছবি

ওয়েবসাইটে www.jrc.gov.bd বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠী ও অংশীজনদের মতামত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আলাদা প্রশ্নমালা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের জন্য নির্বাচিত প্রশ্নমালা যথাযথভাবে পূরণ করে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মতামত দিতে কমিশন সকলকে অনুরোধ জানিয়েছিল। এ ছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কারের বিষয়ে কারো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ জানায় কমিশন।

এদিকে, ২৩ ডিসেম্বর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের খসড়া মতামতের ভিত্তিতে চুড়ান্ত হবে। এ বিষয়ে আগামী শনিবার আলোচনায় বসবে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন।’ 
তিনি জানান, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। আইনটি বাস্তবায়ন হলে বিচারক পদে আর দলীয় সমর্থকদের নিয়োগের সুযোগ থাকবে না।

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন

দুর্নীতি দমন কমিশনকে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানকে কমিশন প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যান্য সদস্য হলেন- সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোস্তাক খান, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্য খাত ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করে সরকার। অন্য কমিশনগুলো হলো, শ্রম সংস্কার কমিশন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলো গঠন করে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর একে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের সদস্যরা হলেন- অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, এস এম রেজা, অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, ডা. আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, চিফ কনসালটেন্ট, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান, উমারয়ের আফিফ।

শ্রম সংস্কার কমিশন

বাংলাদেশ ইনিস্টিউটে অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহি পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের শ্রম সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন-ড. মাহফুজুল হক, ড. জাকির হোসেন, তপন দত্ত, অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম,  ম. কামরান টি রহমান, চৌধুরী আশিকুল আলম, সাকিল আখতার চৌধুরী, তাসলিমা আখতার, এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্থানীয় সংস্কার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কমিশনের সদস্যরা হলেন-অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা, এ এম এম নাসির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান,  ড. মাহফুজ কবির, মাসুদা খাতুন শেফালী, প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম, এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন

১০ সদস্যের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হককে। এ কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন-মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা, নিশিতা জামান নিহা এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন

এছাড়া সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ১০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ কমিশনের সদস্যরা হলেন-অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ফাহিম আহমেদ,  জিমি আমির, মোস্তফা সবুজ, টিটু দত্ত গুপ্ত, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন অবিলম্বে এর কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে।
এতে বলা হয়, কমিশনের প্রধান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন; তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোন সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশি উপ-দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৪০০ কেজি মৌসুমী ফল আম পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংস্কারসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রোজার আগে নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ...
গত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ বলে বৈধতা দিয়েছে—এমন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম...
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত নয়, ট্যারিফ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হবে। আজ মঙ্গলবার ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেস সচিব শফিকুল আলম...
টানা বৃষ্টি ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে নদীতীর রক্ষা বাঁধের বিভিন্নস্থানে ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে আলেকজান্ডার ও মাতব্বরহাট বাঁধের পাঁচ কিলোমিটার এলাকা। হুমকির...
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন সন্দেহে সাতজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে...
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.