অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এ বছরই গুগল অ্যাসিসট্যান্টের জায়গা নিতে চলেছে গুগলের জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট জেমিনি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক ব্লগ পোস্টে এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকান এই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। ইতোমধ্যেই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অনেককে গুগল অ্যাসিসট্যান্ট থেকে জেমিনি’তে আপগ্রেড করেছে তাঁরা। চলতি বছরের বাকি সময়টাতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে গুগল।
২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলেই গুগল অ্যাসিসট্যান্ট ব্যবহারের সুযোগ আর থাকবে না। তখন এআই ব্যবহারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠবে জেমিনি। ব্লগ পোস্টে গুগল আরও বলেছে, ‘উপরন্তু, আমরা ট্যাবলেট, গাড়ি ও ফোনের সাথে যুক্ত হতে পারে এমন বিভিন্ন ডিভাইস যেমন হেডফোন ও ঘড়ি (স্মার্টওয়াচ) জেমিনি’তে আপগ্রেড করতে থাকব।’
জেমিনি’র মাধ্যমে গুগল চাইছে স্পিকার, ডিসপ্লে ও স্মার্টটিভিসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্যে বা হোম ডিভাইসে আরও উন্নত, নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে। অর্থাৎ, এআই প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গুগলের নানাবিধ উদ্ভাবনী সেবা অ্যাক্সেস করার একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠতে যাচ্ছে জেমিনি টুলটি।
গুগল আরও জানিয়েছে যে, আগামী কয়েক মাস তাঁরা ব্যবহারকারীদের সাথে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবে। তবে সে পর্যন্ত ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টঘড়িসহ বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে গুগল অ্যাসিসট্যান্ট ব্যবহার করা যাবে।
অ্যাসিসট্যান্টকে চিরতরে বিলুপ্ত করার পূর্বে জেমিনি টুলের উন্নয়নে গুগল অনেক কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ব্লগ পোস্টটিতে। বিশেষ করে যেসব গ্রাহকরা অ্যাসিসট্যান্ট টুলটির বিভিন্ন ফাংশনের ওপর নির্ভরশীল তাদের জন্য গুগল বেশ কিছু সুবিধা নিয়ে এসেছে। মিউজিক প্লে করা থেকে শুরু করে টাইমারের সাপোর্ট এবং স্ক্রিনলক থাকা অবস্থাতেও ডিভাইসে বিভিন্ন কাজ করার সুবিধা- এমন জনপ্রিয় বিভিন্ন ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা জেমিনি টুলটিতে পেয়ে যাবেন।
অ্যাসিসট্যান্টকে সরিয়ে জেমিনি’কে নিয়ে আসার বিষয়ে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। গুগল তাঁদের পিক্সেল ৯ সিরিজের স্মার্টফোনেই মূল ভার্চুয়াল অ্যাসিসট্যান্ট টুল হিসেবে জেমিনিকে নিয়ে এসেছে। সক্ষমতার দিক থেকে অ্যাসিসট্যান্টের তুলনায় জেমিনি অনেকটাই এগিয়ে বলে দাবি গুগলের। জেমিনি লাইভ ও ডিপ রিসার্চের মতো টুলের কল্যাণে জেমিনি থেকে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
তথ্যসূত্র: টেকক্রাঞ্চ