৪৮ ঘণ্টা আগের কামিন্সের সঙ্গে এখনকার কামিন্সের পার্থক্য কোথায়? এটার উত্তর খুঁজতে খুব কঠিন কিছু করতে হবে না। সহজ উত্তর হলো- অস্ট্রেলিয়ান পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আগে কোনো হ্যাটট্রিক ছিল না। সেই কামিন্সই কিনা টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে অনন্য কীর্তি গড়েছেন।
গত শুক্রবার অ্যান্টিগাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮তম ওভারের শেষ দুই বল ও ২০ তম ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান কামিন্স। আজ সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একই কীর্তি ফিরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার। এবার উইকেট নিয়েছেন ১৮ তম ওভারের শেষ বল ও ২০ তম ওভারের প্রথম দুই বলে।
এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে টানা দুই হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়লেন কামিন্স। বিশ্বকাপ তো বটেই, এ সংস্করণেই টানা দুই হ্যাটট্রিকের প্রথম ঘটনা এটি।
আজ আফগানিস্তান ইনিংসের ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে ফেরান কামিন্স। ২০ ওভারে এসে প্রথম দুই বলে ফেরান করিম জানাত ও গুলবদিন নাইবকে। একই ওভারের পরের বলেও নানগেলিয়া খারোটের উইকেটটা প্রায় পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি। এটি ক্যাচে পরিণত হলে টানা ৪ বলে উইকেট পেতেন কামিন্স। অবশ্য সেটা না হলেও রেকর্ড থেমে থাকেনি।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট আটটি হ্যাটট্রিক হয়েছে। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের দখলেই চারটি হ্যাটট্রিক। একমাত্র বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুটি হ্যাটট্রিক কেবলই কামিন্সের।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি করে হ্যাটট্রিক করা পঞ্চম বোলার কামিন্স। এর আগে দুবার করে এ কীর্তি গড়েছেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, সার্বিয়ার মার্ক প্যাভলোভিক ও মাল্টার ওয়াসিম আব্বাস।