ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন অনেকদিন ধরে। লন্ডনে তাঁর চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিল পরিবার। গত মাসেই ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও তাঁর সাবেক সতীর্থ কপিল দেব এবং সন্দীপ পাতিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসার জন্য অনুদান দিতে, বোর্ড ১ কোটি রূপি দিয়ে সাহায্য করেছিল।
এরপর থেকে ভারতের ভাদোদরায়ই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টার শেষ টেনে দিয়ে গতকাল ৭১ বছর বয়সে অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন আংশুমান গায়কোয়াড়।
ভারতের হয়ে সত্তর-আশির দশকে ৪০ টেস্ট খেলা গায়কোয়াড় দুটি সেঞ্চুরি ও দশটি ফিফটি করেছিলেন। পেসারদের বিপক্ষে ক্রিজে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে থাকার দক্ষতার জন্য বিখ্যাত গায়কোয়াড়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি এসেছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, ৬৭১ মিনিট ক্রিজে থেকে করেছিলেন ২০১ রান – যা সে সময়ে ছিল ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে সবচেয়ে ধীরগতির ডাবল সেঞ্চুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একবার মাইকেল হোল্ডিংদের ফাস্ট বোলিং সামলে জ্যামাইকাতে ৮১ রান করেছিলেন। প্রসঙ্গত, সে সময়ে হেলমেট ছিল না, বাউন্সারের ওপর বিধিনিষেধ ছিল না। ওই ইনিংসে হোল্ডিংয়ের একটা বাউন্সার তাঁর কানে লাগায় পরে গায়কোয়াড়কে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছিল।
১৯৭৫ সালে শুরু ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১২ বছরে অবশ্য ম্যাচ খুব একটা খেলার সুযোগ পাননি, সব মিলিয়ে খেলেছেন ১৫ ম্যাচ, তাতে ফিফটি একটি।
অবসরের পর গায়কোয়াড় কোচিংয়ে নেমেছিলেন। ভারতের কোচ হয়েছিলেন দুই দফায়। শচীন টেন্ডুলকার অধিনায়ক থাকার সময়ে ১৯৯৭ থেকে বছর দুয়েক কোচিংয়ে অবশ্য খুব বেশি সাফল্য এনে দিতে পারেননি। এরপর বিসিসিআইয়ের সে সময়ের সভাপতি এসি মুথিয়ার অনুরোধে ২০০০ আইসিসি নকআউট ট্রফিতে আবার ভারতের কোচ ছিলেন গায়কোয়াড়, সে টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত।