রশিদ খান নিজেকে খানিকটা ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। ভাগ্যবান এ অর্থে, ১০০ বলের খেলা ‘দ্য হান্ড্রেড’-এ ৬ বলের পরিবর্তে ওভার হয় ৫ বলে। নয়তো গতকাল শনিবার ওভারে ৬ ছক্কা খাওয়ার লজ্জার রেকর্ডে নাম উঠে যেত টি-টোয়েন্টিতে সময়ের সেরা লেগ স্পিনারের।
সেটা না হলেও গতকাল সাউদার্ন ব্রেভের বিপক্ষে ম্যাচে যা হয়েছে, সেটা সহসাই ভুলতে পারবেন না আফগান স্পিনার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে কাইরন পোলার্ড তাণ্ডব অনেকদিন মনে গেঁথে থাকবে ২৫ বছর বয়সীর। প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে যা দেখেননি, গতকাল সেটারই সাক্ষী হয়েছেন রশিদ খান।
আফগান স্পিনারের এক ওভারে ৫ বলে টানা ৫ ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা পোলার্ড। সাবেক উইন্ডিজ তারকার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রশিদ খানের ট্রেন্ট রকেটসের বিপক্ষে ১ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে ব্রেভ।
পোলার্ড ঝড় ওঠার আগ পর্যন্ত ম্যাচটা রকেটসের হাতের মুঠোয় ছিল। সাউদাম্পটনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০০ বলের খেলায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল রকেটস। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮০ বল শেষে ব্রাভের স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ৭৮ রান। তখনো জয়ের জন্য ২০ বলে ৪৯ রান দরকার দলটির। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ম্যাচটা হেসে খেলেই জিততে যাচ্ছে রকেটস। কিন্তু পরের ওভারে কী ঘটতে যাচ্ছে, সেটা কারও সুদূর কল্পনাতেও ছিল না।
আগের ১৪ বলে ৬ রান করা পোলার্ড ইনিংসের ৮১তম বলে পুল শটে মিড উইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে রশিদ খানের ওভার শুরু করেন। আফগান স্পিনারের পরের চারটি বলের পরিণতিও একই। দ্বিতীয়টি লং অফ দিয়ে, তৃতীয়টিও লং অফ, চতুর্থটি ডিপ মিড উইকেট ও ওভারের শেষ বলটি আবার লং অফ দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন পোলার্ড।
মুহূর্তেই খেলার রঙ পাল্টে যায়। শেষ ১৫ বলে ব্রাভের দরকার দাঁড়ায় ১৯ রান। পরের ওভারে টার্নারকে আরও দুটি বাউন্ডারি মেরে ১০ বলে ৯ রানের সমীকরণে নিয়ে আসেন পোলার্ড। ইনিংসের ৯১তম বলে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ২৩ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৫ রান করা ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। তাতে অবশ্য ব্রেভের জয় থেমে থাকেনি। ইনিংসের ১ বল বাকি থাকতে জিতে যায় দলটি।