অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গত বছর শাস্তি হিসেবে নিধেধাজ্ঞার মুখে পড়েন দুই ইতালিয়ান ফুটবলার নিকোলো ফাগিওলি ও সান্দ্রো তোনাল্লি। এর মধ্যে অপরাধ স্বীকার করে তেনাল্লি ১০ মাস ও ফাগিওলি ৭ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন।
সে সময় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিলানের আইনজীবীরা। সে তদন্তে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসসহ ইতালির ঘরোয়া লিগ সেরি-আতে খেলা আরও ১০ ফুটবলারের নাম উঠে এসেছে।
ইতালির সংবাদমাধ্যম কোরিয়েরে দেল্লা সেরা এক প্রতিবেদনে প্রথম বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ইতালির আরেক সংবাদমাধ্যম এএনএসএ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
দি মারিয়া-পারেদেসসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে কোরিয়েরে দেল্লা সেরা। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পারেদেস ও দি মারিয়া দুজনেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দুজনেই জানিয়েছেন, তারা কখনো অবৈধ বেটিংয়ে জড়াননি।
ফুতবল ইতালিয়া নামের আরেক ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম উল্লেখ করেছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তোনাল্লি ও ফাগিওলির বিভিন্ন কার্যক্রম তদন্ত করা হয়। দুজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পাশাপাশি তাঁদের ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোও যাচাই করে ইতালির বিচারক। সেখানে দি মারিয়া-পারেদেসসহ আরও ১০ ফুটবলারের নাম উঠে আসে। তবে নতুন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফুটবল নিয়ে জুয়া খেলার কোনো প্রমাণ পায়নি ইতালির তদন্তকারী দল।
কোরিয়েরে দেয়া সেরার প্রতিবেদন অনুসারে, দি মারিয়া ও পারেদেস ছাড়াও এ তদন্তে অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, আলেসান্দ্রো ফ্লোরেন্সি (এসি মিলান), নিকোলো জানিলো (ফিওরেন্তিনা), মাত্তিয়া পেরিন (জুভেন্টাস), ওয়েস্টন ম্যাককেনি (জুভেন্টাস), রাউল বেলানোভা (তুরিনো), স্যামুয়েল রিচি (তুরিনো), ক্রিস্টিয়ান বুয়োনাইতো (পাদোভা), মাত্তেও কানসেল্লিয়েরি (পার্মা), জুনিয়র ফিরপো (লিডস) এবং টেনিস খেলোয়াড় মাত্তেও জিগান্তে।
ফুতবল ইতালিয়া জানিয়েছে, নতুন তদন্তে অভিযুক্তরা ফুটবলে বাজি ধরেছেন, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে অন্যান্য অবৈধ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইন পোকার ও বেটিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণিত হলেও যে শাস্তি দেওয়া হবে, সেটা মোটেও জটিল কিছু নয়। মোটে ২৫০ ইউরো জরিমানা দিয়েই মামলা খালাস হতে পারে। অবশ্য ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চাইলে নতুন করে আবার তদন্ত শুরু করতে পারে। তবে অভিযুক্ত কোনো খেলোয়াড় যদি ফুটবলে বেটিং না করেন, তবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এদিকে বেটিং নিয়ে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দি মারিয়া লিখেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমে আসা সাম্প্রতিক রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট করতে চাই যে, আমি কখনো কোনো ধরনের অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে জড়াইনি।’ প্রায় একই কথা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখে পারেদেসও জানিয়েছেন, তিনিও কখনো অবৈধ বেটিং করেননি।