স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এএসের চোখে, দুই দলের শিরোপাদৌড়ে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার হিসেবে এর চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতামুখর এল ক্লাসিকো এই শতাব্দীতেই আর আসেনি। বার্সেলোনা জিতে গেলে লা লিগা বার্সার হয়ে যাওয়া নিশ্চিত, রেয়াল মাদ্রিদ জিতলে পরের তিন ম্যাচের জন্য লা লিগার শিরোপাদৌড় আরও আকর্ষণীয় হয়ে যাবে।
একে তো বার্সা-মাদ্রিদ দ্বৈরথ, তারওপর শিরোপার হিসেব এদিক-সেদিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা…বার্সার মাঠে আজ এল ক্লাসিকোর রোমাঞ্চ ফুটবলপ্রেমী কোনো মনকেই আন্দোলিত না করে পারে না। এমন ম্যাচে খুঁটিনাটি সব কিছুই তো বিশ্লেষণের আওতায় পড়ে!
এই যেমন, ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগেই রেয়াল মাদ্রিদের একাদশ ঘোষণা করে দেওয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সাধারণত ম্যাচের এক ঘণ্টা আগেই একাদশ জানিয়ে দেওয়া হয়, মাদ্রিদ দুই ঘণ্টা আগে জানিয়ে দেওয়া তাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন নাকি বার্সার জন্য শেষ মুহূর্তে কৌশলে সমন্বয়ের সুবিধা করে দেওয়া – এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। সে বিতর্কের ফল অবশ্য ম্যাচের ফলের সঙ্গে সামন্তরিক! এর বাইরে একাদশ কেমন হলো, চিরন্তন সে তর্ক-বিতর্ক তো আছেই!
তা একাদশ কেমন হলো?
একটা বদল আছে একাদশে, যা থাকবে বলে ধরে নেওয়াই হচ্ছিল। মৌসুমে মূলত বেঞ্চের খেলোয়াড় বনে গেলেও বদলি নেমেই বেশিরভাগ সময়েই আলো ছড়ানো তুর্কি প্লেমেকার আরদা গুলাশকে একাদশে রেখেছেন মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বসিয়ে রেখেছেন ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকার রদ্রিগোকে।
মাঝমাঠে বল পায়ে সৃষ্টিশীল স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি সেবায়োসকে রেখেছেন। বার্সার হাইলাইন ডিফেন্স ও নিরন্তর প্রেসিংয়ের সামনে সেবায়োসের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
আক্রমণে ভিনিসিয়ুস ও এমবাপ্পে, মাঝমাঠে গুলাশ আর সেবায়োসের পাশে বেলিংহ্যাম ও ভালভের্দে। রক্ষণে রাইটব্যাকে লুকাস ভাসকেস ও লেফটব্যাকে ফ্রান গার্সিয়াকে রেখে দুই সেন্টারব্যাক হিসেবে চুয়ামেনি ও রাউল আসেনসিওকে অবশ্য মৌসুমে অনেকবারই খেলিয়েছেন আনচেলত্তি।