পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রীতিনীতি নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, ক্ষমতার সম্পর্কে নারী পুরুষের অসম অবস্থান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে নারীর কম উপস্থিতি, নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, নারীর অগ্রসর হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অগ্রগতিকে স্থিতিশীল করতে ধারাবাহিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে ও সুশাসন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে নারীর জন্য নিরাপদ করতে হবে। নারীর চলাফেরা, কাজ এবং পোশাক নিয়ে যে কটূক্তি করা হয় তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে আজকে অব্যাহতভাবে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য হেনা চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ডা. মাখদুমা নার্গিস রত্না, রেহানা ইউনূস, কানিজ ফাতেমা টগর, সৈয়দা রত্না, খালেদা ইয়াসমীন কনা, জনা গোস্বামী এবং অ্যাড. দীপ্তি শিকদার। মানববন্ধন কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর কমিটির ফেরদৌস জাহান রত্না।
মানববন্ধনে সভাপতি হেনা চৌধুরী বলেন ‘নারীরা কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়েও নিরাপত্তাহীন আছেন। সেখানেও তারা ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের কারণে কোনো নারীর মৃত্যু হলে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ সকল ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জোর দাবি জানায়।’
মানববন্ধন বক্তারা বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ১৮৯ জন নারী নির্যাতনে শিকার হয়েছেন, তার মধ্যে ৪৮ জনই ধর্ষণের শিকার। আজকে অন্য পরিবারের কেউ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, কালকে যে নিজ পরিবারের কেউ এই ঘটনার সম্মুখীন হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। পরিবার, জনপরিসরে কোথাও আজ নারীর নিরাপত্তা নেই। নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হলেও মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিতে ভুক্তভোগী, তার পরিবার এবং সাক্ষীদাতার নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।