ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না সাংবাদিকদের। এমনকি এ ঘটনায় আহতদের সঙ্গে কথাও বলার সুযোগ মিলছে না তাদের। যেতে দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া ও আফগানিস্তান প্রতিনিধি ইউগিতা লিমায়ে।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হন।
আজ বুধবার বিবিসির সাংবাদিক ইউগিতা লিমায়ে বলেন, ‘আমরা পাহেলগামে হামলার স্থান থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) দূরে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ বলছে, এই স্থানের বাইরে মিডিয়াকে যেতে না দিতে তাদের ওপর নির্দেশ রয়েছে। যদিও এখানে বেসামরিক চলাচলের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। এর ফলে আমাদের পক্ষে আহত ও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রাখা হাসপাতালে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে কিছু সাংবাদিক রাতারাতি সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন বলেও জানান ইউগিতা লিমায়ে।
বিবিসি বলছে, কাশ্মীরের সংঘাতের কারণে সেখান থেকে রিপোর্ট করা সবসময়ই কঠিন ছিল। কিন্তু গত পাঁচ বছরে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে স্থানীয় সাংবাদিকরা কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা এখান থেকে স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করতে পারছেন না।
এদিকে, আজ বুধবার দিল্লিতে অবস্থিত নেপালের দূতাবাস থেকে জানানো হয়, কাশ্মীরে হামলায় নিহতদের মধ্যে তাদের দেশের এক নাগরিক রয়েছেন। এই হামলায় পাকিস্তান জড়িত নয় বলে দাবি করেছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। এই হামলা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ভারতেরই ভেতরকার কারও চক্রান্ত।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা।