ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় সদ্য যোগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের নিয়োগ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। যোগদানের পর জানা যায়, মিজানুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তবে বিষয়টি না জেনে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার।
২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে মিজানুর রহমানের নামে। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চু। এতে প্রধান আসামি করা হয় পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে। মামলাটি (নং-৯২) ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩, ৩৪২, ৩৬৫, ৩৮৬, ৩৮০, ১৭০, ৪২৭, ৫০৬ ও ১১৪ ধারায় রুজু করা হয়।
গত ১৯ মে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে মিজানুর রহমান কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। গত মঙ্গলবার ওসি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি ৭ দিনের ছুটিতে চলে যান বলে জানা গেছে।
সেনবাগ থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘২০১৮ সালের একটি রাজনৈতিক মামলায় ওসি মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ।’
এদিকে ওসি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত সোমবার রাতে ওসি হিসেবে মিজানুর রহমান স্যার যোগদান করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি ৭ দিনের ছুটিতে চলে যান। এর চাইতে আমি বেশি কিছু জানি না।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম বলেন, ‘মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সেটি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই বাস্তবায়ন করা হবে।’