শেরপুর গাড়ো পাহাড়ে থামছে না হাতি হত্যা। জিআই তারের সাথে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে একের পর এক হাতি হত্যা বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা কাটাবাড়ি এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতির মৃত্যু হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, এরই মধ্যে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিবাগত রাত ৩টায় গাড়ো পাহাড়ে সবাই যখন ঘুমে গভীর এই রাতে খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির দল পাহাড় থেকে নেমে আসে পাহাড়ি গ্রাম নালিতাবাড়ির দাওধারা কাটাবাড়িতে। এই হাতির দলের সামনে পেতে রাখা ছিল বিদ্যুতের জিআই তার। আর সেই জিআই তারেই জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ১২-১৩ বছর বয়সের মাদী হাতিটি। পরে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন এসে শহীদ মানকিং এর বাড়ি ঘেরাও করে জিআই তার জব্দ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ‘ইতিপূর্বেও এই বাড়ির লোকজনদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল। তা না মেনে তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এই হাতিটিকে হত্যা করেছে। আমরা সকালে এসে বিদ্যুতের তার জব্দ করেছি। হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আর মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শেরপুরের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি, বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হাতিটিকে মারা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
এদিকে এ ঘটনার পার আজ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই হাতি হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার কাজ করছে। হাতির দ্বারা মানুষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণও দেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ১০ বছরের হিসাবে দেখা যায়, জেলায় ৩৫টি বন্যহাতি ও একই সময়ে ৩৬ জন মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে গত ৬ মাসে ৫টি হাতি ও ৪ জন মানুষ মারা যায়।