১৩৮ বছরে পর্দাপণ করল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। সম্প্রতি রেকর্ড পণ্য ওঠা-নামায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বন্দরটি। ২০২৪ সালে রাজস্ব আদায় ৫ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। তবে সক্ষমতার পাশাপাশি রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জও। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বন্দরকে আরও আধুনিক করা হবে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় চট্টগ্রাম বন্দরের গোড়াপত্তন হলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় ১৮৮৮ সালে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ ভাগই পরিচালিত হয়। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে পরিধিও। যোগ হয়েছে স্বয়ংক্রিয় সব যন্ত্রপাতি। মাত্র ছয় একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও গত বছর ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৭ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড করেছে।
বন্দর বিশেষজ্ঞ জাফর আলম জানান, বন্দরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বিলম্বিত হচ্ছে নানা কারণে। ২০২৫ সালে বে-টার্মিনালে কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও চলতি সপ্তাহে কেবল একনেকে পাশ হয়েছে প্রকল্পটি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্দরের সম্প্রসারণ নীতিগত পরিকল্পনা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ ও ব্যবহারকারীরা।
বিদায়ী বছরে বন্দরের আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর কনটেইনার পরিবহন বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৬ ভাগ।