প্রথমবারের মতো সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে গেলো কার্গো ফ্লাইট। রাত সোয়া ৮টায় ফ্লাইটি স্পেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এর মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানিতে যোগ হলো নতুন মাত্রা।
৫৮ টন গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে কার্গো বিমান রওনা হয়। বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন এর উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। এরপর রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে বিকল্প রুট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সম্প্রতি ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আধুনিক কার্গো কমপ্লেক্স ও টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রামে এই সুবিধা চালু হলে ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়ে আর পরনির্ভরশীলতা থাকবে না বলে আশা আমদানি-রপ্তানি কারকদের।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘যে কোনো বিমানবন্দর থেকে যখন আমরা পণ্য পাঠাই, দুই থেকে আড়াই ডলার পার কেজি পাঠাতে পারে। এখানে ৪ ডলার থেকে শুরু করে ৭ ডলার পর্যন্ত আমাদেরকে দিতে হয়। এই মনোপলি ব্যবসাটা বন্ধ করতে হবে। এরজন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ডেকে ওনাদের কথা বলতে হবে। পরবর্তীতে বিমান বাংলাদেশকে কার্গো হ্যান্ডলিং শুরু করতে হবে।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ফ্রেইটার ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সচল হচ্ছে ২৭০ টনের কার্গো স্টেশন। চট্টগ্রাম থেকে চীনে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামেও আমরা খুব শিগগিরই শুরু করব। কার্গো যেটা ছিল সেটার মধ্যে কিছু ছোটখাট কাজ গত ১ সপ্তাহ ধরে চলছে। অন্যান্য সব প্রিপারেশনও আমরা নিচ্ছি। ওখানে কাস্টমস–ইমিগ্রেশনকে নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।’
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কার্গো চাপ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।