ত্বকের যত্নে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রেটিনল। সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার থেকে শুরু করে ডার্মাটোলজিস্টরাও রেটিনলকে বলছেন স্কিনকেয়ারের ‘হলি গ্রেইল’। তবে এটি ব্যবহার শুরু করলেই কি ত্বক ঝলমলে হয়ে ওঠে?
উত্তর, না। অনেকেই শুরুর দিকে বিপরীত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান। ত্বকে দেখা দেয় লালচেভাব, শুষ্কভাব, এমনকি ব্রণ। অনেকে এটাকে ভাবেন প্রতিক্রিয়া। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এটাই রেটিনল পার্জিং। এটা আসলে ত্বক ভালো হওয়ার লক্ষণ।
রেটিনল পার্জিং কী?
ত্বকের কোষ যখন পুরোনো স্তর ঝরিয়ে দিয়ে নতুন কোষ তৈরি করে, তখন দেখা দেয় কিছু অস্বস্তিকর উপসর্গ। বিশেষ করে রেটিনল প্রথমবার ব্যবহারে, এই কোষ-পরিবর্তনের হার অনেক বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে দেখা দেয় লালচে ভাব, খোসা ওঠা, এমনকি ব্রণও।
এই অবস্থাকেই বিশেষজ্ঞরা বলেন রেটিনল পার্জিং। যদিও এটা অস্বস্তিকর, তবে স্থায়ী নয়। বরং এর মধ্য দিয়ে গেলে ত্বক আরও পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও টানটান হয়।
রেটিনলের উপকারিতা
শুধু অ্যান্টি-এজিং নয়, রেটিনল ত্বকের আরও অনেক সমস্যার সমাধান করে। এটি ত্বকের ছিদ্র (পোর) ছোট করে। সেবাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে। ত্বকের রং নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করে।
কারা পড়ছেন বেশি বিপাকে?
প্রথমবার রেটিনল ব্যবহারকারীদের মাঝেই পার্জিং বেশি দেখা যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে, অনেকের আবার লালচে দেখায়। ব্রণও দেখা দিতে পারে। তবে ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
কীভাবে সহজে মানিয়ে নেওয়া যায়?
ত্বক যাতে ধীরে ধীরে রেটিনলের সাথে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রতিদিন নয়, দিন ফাঁকে ব্যবহার করুন। রাতে একদিন লাগিয়ে পরের দিন বিরতি দিন। এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমবে।
কম ঘনত্ব দিয়ে শুরু করুন। সরাসরি বেশি ঘনত্বের রেটিনল না নিয়ে ০.১৫ শতাংশ থেকে শুরু করুন। তারপর ধীরে ধীরে বাড়ান।
তবে রেটিনল ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিদিন ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। এতে ত্বক শুষ্ক হওয়া বা রোদে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমে।
রেটিনল ব্যবহার মানে ত্বককে একটা নতুন যাত্রায় নিয়ে যাওয়া। শুরুটা একটু কঠিন হলেও, শেষটা সুন্দর হতে বাধ্য, যদি ধৈর্য রাখা যায়।