৫৮ বছর বয়সেও মুখে বয়সের রেখা যেন স্পর্শই করতে পারেনি। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সালমা হায়েক যেন সময়কে থামিয়ে রেখেছেন। মেকআপ ছাড়া ছবি পোস্ট করতেও পিছপা নন তিনি। নিজের চুলে সাদা রঙের ঝিলিক নিয়েও অনায়াসে ক্যামেরাবন্দী হচ্ছেন। এ রকম আত্মবিশ্বাস আসে কোথা থেকে? সৌন্দর্যের রহস্যটা কি দামী প্রসাধনী? না। বরং সালমার সৌন্দর্যচর্চা ঠিক উল্টো। খুব সাধারণ, সহজ আর প্রাকৃতিক।
সম্প্রতি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমা হায়েক জানালেন, তিনি সকালে কখনোই মুখ ধোন না। কারণ? তাঁর নানীর একটি কথা সব সময় মনে রাখেন। ‘রাতে যখন ঘুমাই, তখন ত্বক সারারাত ধরে নিজেকে সারিয়ে তোলে। যদি রাতে ভালো করে মুখ ধুই, তাহলে সকালে আবার কেন ধোব?’ বলছিলেন সালমা।
তবে মুখ না ধুলেও সকালে ত্বক সতেজ রাখার জন্য একটা কাজ অবশ্যই করেন। তিনি ব্যবহার করেন গোলাপজল, একটি হালকা, প্রাকৃতিক ফেস মিস্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে গোলাপজল ছিটিয়ে নেন। এতে ত্বক সতেজ হয়, হাইড্রেট থাকে, আর মনও ভালো হয়ে যায়।
গোলাপজলেই ভরসা
গোলাপজল শুধু ত্বক সতেজ করে না, এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। যা ত্বকের লালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে। রোমছিদ্র টেনে রাখে, ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রাখে। হালকা টোনারের মতো কাজও করে। সালমার মতে, এই ছোট্ট অভ্যাসেই পাওয়া যায় স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
আর্দ্রতা ছাড়া চলবে না
সালমার দৈনন্দিন ত্বকের যত্নে গুরুত্ব পায় ‘হাইড্রেশন’। তিনি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার, হালকা তেল বা সিরাম ব্যবহার করেন। এতে থাকছে জোজোবা অয়েল, ল্যাভেন্ডার অয়েল বা ভিটামিন ইয়ের মতো প্রাকৃতিক উপাদান। খুব দামি কিছু নয়।
মেকআপ তুলতে নারকেল তেল
মেকআপ তুলতে সালমা হায়েক ব্যবহার করেন নারকেল তেল। এতে একদিকে ত্বক পরিষ্কার হয়, অন্যদিকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারও থাকে অটুট।
ঘরোয়া ক্লেনজারও থাকেই
রাতের ক্লেনজিংয়ে মাঝে মাঝে সালমা ব্যবহার করেন নিজে বানানো ক্লেনজার। ওটস, বাদাম দুধ আর সামান্য মধু মিশিয়ে বানান মুখ ধোয়ার উপাদান। এতে ত্বক হয় মোলায়েম, উজ্জ্বল।
সালমা হায়েক দেখিয়ে দিলেন, ত্বকের যত্ন নিতে দামি প্রসাধনী দারকার হয় না। বরং সচেতনতা, অভ্যাস আর প্রাকৃতিক উপকরণই ত্বকের জন্য যথেষ্ট। সৌন্দর্য মানে শুধু বাহ্যিক কিছু নয়, আত্মবিশ্বাস আর নিজের প্রতি ভালোবাসা।