পার্ক বো-গাম, কে না চেনে। কোরিয়ান অভিনয়ের রাজপুত্র। যার চোখে-মুখে সবসময় এক ধরনের প্রশান্তি, আর উজ্জ্বলতা খেলা করে। ৩১ বছর বয়সেও পর্দায় তার অভিনয় যেমন প্রাণবন্ত। বাস্তব জীবনেও তেমনই হাসিখুশি।
সাম্প্রতিক কোরিয়ান নাটক হোয়েন ‘লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিন্স’-এ ভালোবাসায় ভরপুর স্বামীর চরিত্রে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। সেই সাথে আলোচনায় এসেছে তার টানটান ও ঝলমলে ত্বক।
হ্যাঁ, তিনি নিজে কখনো স্কিনকেয়ার রুটিন নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন না। তবে যেটুকু জানা গেছে, তা থেকেই বোঝা যায়, ত্বকের যত্নে তার ভাবনা সুদূরপ্রসারী।
ঘুমে শুরু, ঘুমেই শেষ
বো-গামের মতে, সৌন্দর্যের প্রথম শর্ত ঘুম। বিশেষ কোনো শুটিং, অনুষ্ঠান বা সাক্ষাৎকার থাকলে আগের রাতে বাড়তি ঘুম তার আবশ্যক। ঘুমের পর তিনি হালকা ম্যাসাজ করেন মুখে। চোখের নিচের ফোলাভাব আর ত্বকের ক্লান্তি যেন মুছে যায় এক লহমায়।
শরীরের ভিতরটা আগে ঠিক করতে হবে
বয়স যখন ত্রিশ ছুঁয়েছে, তখন শুধু বাইরের যত্নে কাজ চলে না। বো-গাম নিয়ম করে খান প্রোবায়োটিক, মাল্টিভিটামিন, ওমেগা-থ্রি আর ম্যাগনেশিয়াম। তার বিশ্বাস, শরীর ভিতর থেকে ঠিক থাকলে, ত্বকও নিজের মতো ঝলমলে হয়ে ওঠে।
সানস্ক্রিনে কোনো ছাড় নেই
সবচেয়ে জরুরি বিষয় নিয়মিত যত্ন আর সানস্ক্রিন। বো-গামের ভাষায়, ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এবং দিনে কয়েকবার করে তা আবারও প্রয়োগ করতে হবে। রোদ শুধু ত্বক পোড়ায় না, বয়সের ছাপও ফেলে। তাই সূর্য যতই ঝলমলে হোক, ত্বক যেন থাকে তার চেয়েও বেশি ঝলমলে। এই লক্ষ্যেই তার পথচলা।
তাই জীবন যদি তোমাকে ট্যানজারিন দেয়, একটুও ভয় পাওয়ার দারকার নেই। পার্ক বো-গামের মতো বিশ্রামে থাকতে হবে। শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে হবে। আর প্রতিদিনের যত্নে থাকতে হবে অটল।