সূর্যের রোদ থেকে ত্বক বাঁচাতে আমরা অনেকেই নিয়ম করে সানস্ক্রিন মাখি। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঘরে বসে ফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে? এই ক্ষতির নাম ব্লু লাইট বার্নআউট।
এখনকার জীবনে সবচেয়ে বেশি সময় কেটে যায় মোবাইল, টিভি আর ল্যাপটপের সামনে। আর এখান থেকেই আসে ব্লু লাইট, যেটা আমাদের ত্বকে অদৃশ্য ক্ষত করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. মালবিকা কোহলি বলেন, ‘ব্লু লাইট ত্বকের গভীরে ঢুকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে, ডিএনএ ক্ষতি করে এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ছড়ায়। ফলে ত্বকে দাগ পড়ে, ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় আর দ্রুত বয়ঃসন্ধির লক্ষণ দেখা দেয়।’
এই ব্লু লাইট আসে সূর্য ছাড়াও আমাদের ঘরের স্ক্রিন ও এলইডি আলো থেকেও। আর দুঃখের বিষয়, সাধারণ এসপিএফ ৫০ সানস্ক্রিনে এই আলো ঠেকানোর ক্ষমতা থাকে না।
কোন সানস্ক্রিন বেছে নেবেন?
আয়রন অক্সাইড: অনেক টিন্টেড সানস্ক্রিনে আয়রন অক্সাইড থাকে, যা ব্লু লাইট প্রতিফলিত করে এবং ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ভিটামিন সি, ই, নিয়াসিনামাইড, গ্রিন টি, ক্যামোমাইল বা রেটিনল। এই উপাদানগুলো স্ক্রিন থেকে আসা ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
মিনারেল ফিল্টার: জিঙ্ক অক্সাইড ও টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড যেমন সূর্যের ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি ঠেকায়। তেমনি কিছুটা ব্লু লাইটও আটকাতে পারে।
লেবেল দেখে কিনুন
সানস্ক্রিন কেনার সময় দেখে নিন ‘এইচইফি প্রোটেকশন’, ‘ব্লু লাইট ডিফেন্স’ বা ‘ডিজিটাল পলিউশন শিল্ড’ লেখা আছে কি না। কিছু উন্নত ফর্মুলায় ‘টাইনোসর্ব এটুবি’ বা ‘টাইনোসর্ব এম’ নামের ফিল্টার থাকে। যেগুলো বিশেষভাবে ব্লু লাইট প্রতিরোধে কাজ করে।
কার জন্য কোন সানস্ক্রিন?
ডা. রাইনা নহার বলেন, ‘যারা বাইরে বেশি সময় কাটান, তাদের জন্য ইউভিএ, ইউভিবি, ইনফ্রারেড ও দৃশ্যমান আলোর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দরকার। আর যারা স্ক্রিনের সামনে বেশি থাকেন, তাদের জন্য ব্লু লাইট প্রতিরোধী সানস্ক্রিন অপরিহার্য।’
সানস্ক্রিন মানেই এখন শুধু সূর্যের রোদ নয়, স্ক্রিনের আলো থেকেও সুরক্ষা দরকার। তাই আজ থেকেই একটু সচেতন হোন। লেবেল দেখে বুঝে নিন আপনার সানস্ক্রিন সত্যিই ত্বককে কতটা রক্ষা করতে পারছে। ব্লু লাইট প্রতিরোধী না হলে, আজই পাল্টে ফেলুন আপনার সানস্ক্রিন।