জাপানের প্রাচীন শহর কিয়োতোর তো-জি মন্দিরের শান্ত বাগানজুড়ে এক অপূর্ব সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিলেন সোনম কাপুর। আর গায়ে ডিওরের প্রি-ফল ২০২৫ কালেকশন। ডিজাইনার মারিয়া গ্রাজিয়া কিউরির হাতে তৈরি এই কালেকশন যেন ঐতিহ্য আর আধুনিকতার অনবদ্য সংমিশ্রণ।
চিফনের উপর হালকা ফুলের নকশা, কোমল প্যাস্টেল রংয়ের পোশাকে যেন মন্দিরের পরিবেশই ফুটে উঠেছে। খোঁপায় একটি মাত্র বেণী, চোখে উইংড আইলাইনার, গাল ভরা গোলাপি আভা আর ঠোঁটে হালকা চকচকে গোলাপি রঙ। আহ্! নিখুঁত, মায়াবী চেহারা। হাতে কালো লেডি ডিওর ব্যাগ যেন তাঁর সাজ পোশাকের পূর্ণতা দিয়েছে।
কিয়োতোতেই ডিওরের কাহিনি
ডিওরের বার্ষিক প্রি-ফল কালেকশনের ভেন্যু এবার জাপানের ঐতিহাসিক তো-জি মন্দির। তবে এই শহরের সঙ্গে ডিওরের সম্পর্ক নতুন নয়। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার জাপানে ডিওরের সংগ্রহ প্রদর্শিত হয়। সেই সময়ই কিয়োতোর এক সিল্ক ওয়ার্কশপের সঙ্গে কাজ শুরু করেন ক্রিশ্চিয়ান ডিওর। সেখান থেকেই বিশেষ জাপানি টেক্সটাইল দিয়ে তৈরি হয় তাঁর বেশ কিছু হাউত কুতুর পোশাক।
ডিজাইনার মারিয়া কিউরি বলেছিলেন, ‘পঞ্চাশের দশকে ডিওর কিয়োতোর সিল্ক আর কারিগরি দিয়ে যা তৈরি করেছিলেন, তা ছিল এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংলাপ।’
একাধিক লুক, একটাই ছন্দ
এই সফরে সোনমের ক্ল্যাসিক আরেকটি লুক ছিল। গায়ে কাঠামোগত ডিজাইনের একটি কালো জ্যাকেট, যার উঁচু কলার আর বোতামঘেরা ফ্রন্ট অংশটুকু কোমরের বেল্ট দিয়ে নিখুঁতভাবে বাঁধা। এর নিচে সাদা শার্ট ও কালো পেনসিল মিডি স্কার্ট, সঙ্গে কালো স্টিলেটো হিল। কনট্রাস্ট হিসেবে ছিল সাদা লেডি ডিওর ব্যাগ।
ডিওরের নতুন অধ্যায়?
সোনমের উপস্থিতি, বারবার এই ফ্যাশন হাউসের প্রতি তাঁর আনুগত্যই যেন জানান দিচ্ছে। তাঁকে ঘিরে ডিওরের ভবিষ্যৎ ভাবনায় আরও কিছু যুক্ত হতে পারে।
গত বছরের অক্টোবরে সোনম কাপুরকে ডিওরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে তিনি প্যারিস হাউত কুতুর উইকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন।
জানুয়ারির প্যারিস হাউত কুতুর উইকে ডিওরের স্প্রিং-সামার ২০২৫ কালেকশনের একটি শেয়ার ব্যান্দো ড্রেসে তাঁকে দেখা যায়। সঙ্গে ছিল ডিওরের রিসোর্ট কালেকশনের একখানা ফক্স ফার কোট ও নি-লেন্থ বুটস।