কখনো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়েছে, ‘ইশ, যদি একটু লম্বা লাগতাম!’ অথবা মনে হয়েছে, সাজপোশাকে কোথায় যেন পরিপাটি ভাবটা আসছে না? স্টাইল বোদ্ধারা বলছেন, এসব সমস্যা মেটাতে দরকার নেই হাই হিল কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিন্টারেস্ট ঘেঁটে পোশাকের ছবি খোঁজার। এর সহজ সমাধান হতে পারে একটি ফ্যাশন ট্রিক। যার নাম কলাম ড্রেসিং।
কী এই কলাম ড্রেসিং?
সহজভাবে বললে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত একই রঙের পোশাক পরাকে বলা হয় কলাম ড্রেসিং। এতে শরীরের ওপর দিয়ে একটানা একটি রঙের লাইন তৈরি হয়। যা চোখে ধরা পড়ে দীর্ঘ ও স্লিম একটি অবয়ব হিসেবে। ফ্যাশন দুনিয়ার অভিজ্ঞদের মতে, এই স্টাইল মানেই হলো ঝরঝরে আর পরিপাটি লুক।
যখন জামা ও প্যান্ট বা শাড়ি-ব্লাউজ আলাদা আলাদা রঙের হয়। তখন শরীর ভিজ্যুয়ালি ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু একই রঙে সাজলে লম্বা ও ভারসাম্যপূর্ণ দেখায়।
শুধু কালো নয়
মনোক্রোম মানেই যে কেবল কালো, তা নয়। পুরো সাদা, বেইজ, ক্যামেল, চারকোল, অলিভ গ্রীন বা কোবাল্ট ব্লু, এই সব রঙেও দারুণ কাজ করে কলাম ড্রেসিং। এমনকি গাঢ় লালচে ‘রাশ’ কিংবা হালকা গোলাপি ‘ব্লাশ’ রঙেও মিলিয়ে সাজলে তৈরি হয় একই প্রভাব।
ছোটখাটো গড়নের জন্য আদর্শ
যাদের হাইট কিছুটা কম, তারা অনেকেই উচ্চতা বাড়িয়ে দেখাতে হিল পরেন। কিন্তু এই ট্রিক এমনভাবে দৃষ্টিভ্রম ঘটায়, যেখানে হিল না পরেও দেখা যায় লম্বা ও স্লিম অবয়ব। তাই ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাম ড্রেসিং ছোটখাটো গড়নের মানুষদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
আরও পরিপাটি হতে চান?
তাহলে মিলিয়ে নিন জুতাও। বেইজ প্যান্টের সঙ্গে বেইজ হিল, সাদা জিনসের সঙ্গে সাদা স্নিকার্স কিংবা একই রঙের ফ্ল্যাট জুতা। এই ছোটখাটো সমন্বয় আপনার লুককে করবে আরও নিখুঁত ও গুছানো।
কনট্রাস্টেও স্টাইল
যদি এক রঙের সাজে একটু বৈচিত্র্য আনতে চান, তবে ব্যবহার করতে পারেন কনট্রাস্ট রঙের জ্যাকেট, ব্যাগ কিংবা স্কার্ফ। এতে একদিকে যেমন রঙের ভারসাম্য থাকে, তেমনি তৈরি হয় স্টাইলের আলাদা ছাপ।
কলাম ড্রেসিং শুধু একটি সাজ নয়, বরং এটি একধরনের স্টাইল। যাকে বলে, কম দিয়ে বেশি দেখানোই সবচেয়ে বড় ফ্যাশন। এখন সময়, এক রঙের সৌন্দর্যকে আবার নতুন করে আবিষ্কার করার।