তীব্র গরমে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেয়। তবে এসি ঘর ঠাণ্ডা করার সঙ্গে সঙ্গে বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেওয়ায় ঘরের ভেতর পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়। এ সমস্যার সহজ সমাধান হিসেবে অনেকেই এসি চালানোর ঘরে একটি বালতি বা বাটিতে পানি রাখতে পারেন।
কিন্তু এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বেঙ্গালুরুর কাওভেরি হাসপাতালের শ্বাসপ্রশ্বাস বিশেষজ্ঞ ডা. শিবকুমার কেন বলেন, ‘এসি বাতাস ঠাণ্ডা করার সময় আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। ঘরে পানি রাখলে বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বাতাসে কিছু আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনে। পাত্রে পানি থাকলে বাষ্পীভবন দ্রুত হয়। যদিও এটি হিউমিডিফায়ারের মতো কার্যকর নয়, ছোট বা মাঝারি রুমে বাতাস শুষ্ক লাগলে কিছুটা আরাম দিতে পারে।’
ডাক্তারের ভাষায়, ‘এসির দীর্ঘসময় ব্যবহারে যে অতিরিক্ত শুষ্কতা হয়। তা কমাতে এটি সহজ এবং কম খরচের এক উপায়।’
এসি থেকে শুষ্ক বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর?
ডা. শিবকুমার জানান, ‘দীর্ঘ সময় শুষ্ক বাতাসে থাকা বিশেষত অ্যাজমা ও ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর। এতে শ্বাসনালী জ্বালা পেতে পারে, গলার শুষ্কতা বাড়তে পারে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ত্বকও শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে, চুলকানি বাড়তে পারে এবং একজিমার মত সমস্যা প্রকট হতে পারে।’
‘নাকের ভেতরও শুষ্কতা বাড়লে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারে। এছাড়াও শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা দুর্বল হতে পারে,’ তিনি সতর্ক করেছেন।
আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি
এসি চালানোর সময় ঘরের আর্দ্রতা সঠিক মাত্রায় রাখা জরুরি। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার বেশি কার্যকর। এছাড়া নিয়মিত ঘর ভেন্টিলেট করা, পর্যাপ্ত পানি পান এবং আর্দ্রতা ধরে রাখার ত্বক পরিচর্যা করা উচিত।
ডা. শিবকুমার বলেন, ‘এসি ফিল্টার পরিষ্কার রাখা জরুরি। কারণ ধুলো জমলে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে এবং শুষ্কতা আরও প্রকট হয়।’
এসব সতর্কতা মেনে এসি চললে গরমেও ঘর হতে পারে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর।