জীবনে চলার পথে অনেক সমস্যা আসে। সেগুলো সমাধান করেই এগিয়ে চলতে হয়। তার জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই ভূমিকা রাখতে হয় সমানভাবে। তা না হলে সম্পর্ক তো খারাপ হবেই। অনেক সময় কেউ কেউ বুঝতেই পারে না যে, তাদের সম্পর্ক তিক্ততার পথে হাঁটছে। তাই অনেক সময় সেই সম্পর্ক রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। যা আগে জানলে হয়তো আপনি কথা বলেই ঠিক করে ফেলতে পারতেন। তাই সম্পর্কে যে ঘুণ ধরেছে, তা বোঝা জরুরি। কীভাবে বুঝবেন তা উঠে এসেছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে।
সেখানে বলছে, সম্পর্কের শুরুর দিনগুলো সবার কাছেই বেশ বেশ সুন্দর হয়। যা অনেকটা রূপকথার মতো। ভালোলাগা বা ভালোবাসায় থাকে এক অন্যরকম আবেশ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই যেন বদলাতে থাকে। চেনা সঙ্গীও যেন হয়ে ওঠেন বড্ড অচেনা। হারাতে থাকে ভরসা-বিশ্বাসের জায়গা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, সম্পর্ক একটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
এই জায়গা একদিনে তৈরি হয়নি। সম্পর্কে যে ঘুণ ধরছে, তা বুঝতে পারবেন বেশ আগে থেকেই। একটু খেয়াল করলেই একটা একটা করে ইঙ্গিত পেয়ে যাবেন। আপনার ক্ষেত্রেও এমনটাই হচ্ছে না তো? কীভাবে বুঝবেন? যেনে নিন লক্ষণগুলো, আর এখনই হন সতর্ক। সঙ্গীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলে ভেঙে দিন তার মনের ভুল। দীর্ঘ করুণ জীবন চলার পথ।
কথায় কথায় ঝামেলা বাঁধে
একে অপরকে ইদানীং পছন্দই করেন না। কথায় কথায় ঝামেলা বাঁধে নিজেদের মধ্যে। একে অপরের কথাও যেন শুনতেই চান না। ঝগড়া মেটানোর ইচ্ছেও যেন কারো নেই? এমন হলে সতর্ক হন। ব্রেকআপ হওয়ার আগে প্রায় প্রতিটি সম্পর্কেই এমন হয়। তাই আগে ভাগেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলুন। ঝগড়া হলেও, একজন অন্যজনের কথা শুনুন। সে কি চাচ্ছেন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি বিষয়টি মেটাতে না পারেন, তবে সেই সমস্যা নিয়ে কথাই বলার দরকার নেই। দেখবেন কিছুদিন পর এমনিতেই ভুলে গিয়েছে। সঙ্গীর সঙ্গে প্রয়োজনে মুখোমুখি কথা বলুন। তাতেই আপনারা ভালো থাকবেন।
সঙ্গীর মধ্যে অদৃশ্য প্রাচীর
অনেক সময় দুজনের মধ্যে অদৃশ্য প্রাচীর তৈরি হয়ে যায়। এটি বোঝা খুব সহজ। যেমন ধরুন, আপনি আপনার সঙ্গীকে কোনো কথা বলার আগে বারবার ভাবছেন বা তাঁর কোনো বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে গেলেও ভাবতে হচ্ছে। এমন লক্ষণ থাকলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। তাই দুজনে হাতে হাত রেখে সম্পর্কটা ট্র্যাকে ফেরান।
সঙ্গীর গুরুত্ব কতটুকু, ভাবুন
সবার কাছেই বিশেষ মানুষদের জন্য আলাদা এক গুরুত্ব থাকে। সেই তালিকায় আপনার সঙ্গীর অবস্থান কোথায়, সেটি কি একবারও ভেবেছেন? যদি না ভেবে থাকেন, তবে এখনই বুঝে নিন। কোনোভাবেই সঙ্গীকে অবহেলা করবেন না, তাঁর সমস্যা থাকলে কথা বলে ঠিক করে নিন।
ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন কি?
সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সবারই কম বেশি চিন্তা থাকে। আজ এই সম্পর্কটি যেই স্থানে আছে, পাঁচ বছর পর সেখানে থাকবে না। তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে। কিন্তু কোনো যুগল যদি ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ভাবেন না, তখন সেটি সত্যিই চিন্তার! আপনার সম্পর্কেও কি এমন কিছু হচ্ছে? তাহলে একটু চিন্তা-ভাবনা করুন। দুজনে মিলে সমস্যা সমাধান করুন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সবকিছু নিশ্চয় ঠিক হয়ে যাবে।