অনেকে মনে করে বিড়ালরা স্বাধীন প্রকৃতির। কিন্তু কিছু কিছু জাত আছে, যারা সবসময় মানুষের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। তারা আপনার পাশে পাশে ঘুরবে, কোলে বসবে, এমনকি মিউ মিউ করে কথা বলবে। যদি আপনি এমন একটি আদুরে বিড়াল চান, তাহলে নিচের জাতগুলো দেখে নিতে পারেন।
সায়ামিজ: সায়ামিজ বিড়ালরা অত্যন্ত সামাজিক ও কথা বলা পছন্দ করে। তারা সবসময় মনোযোগ চায়। তাই তো তারা মালিকের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে। এই জাতের বিড়ালরা খেলা করতে, আদর পেতে এবং ঘরের এক কোণ থেকে আরেক কোণে আপনাকে অনুসরণ করতে ভালোবাসে। একা থাকলে তারা মন খারাপ বা বিরক্ত হতে পারে।
মেইন কুন: এই জাতের বিড়ালরা বড় ও তুলতুলে এবং ভালোবাসায় ভরপুর হয়ে থাকে। আকারে বড় হলেও তারা বেশ মিষ্টি ও কোমল প্রকৃতির। এই বিড়ালরা মানুষদের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। অনেক সময় তাদের কুকুরের মতো প্রভূভক্তি আচরণও করে। তারা দরজায় এসে আপনাকে স্বাগত জানাবে, সারাক্ষণ পিছু নেবে। আপনার দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করবে।
র্যাগডল: র্যাগডল বিড়ালরা তাদের শান্ত ও স্নেহপূর্ণ স্বভাবের জন্য বিখ্যাত। কোলে তুললে তারা অনেক সময় নরম হয়ে ঢলে পড়ে, যেন র্যাগডলের মতো। তারা মানুষের সাহচর্য পছন্দ করে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা কোলে বসে থাকতে পারে। যারা শান্ত ও আদুরে বিড়াল চান, তাদের জন্য র্যাগডল এক আদর্শ পছন্দ।
বার্মিজ: বার্মিজ বিড়ালরা চঞ্চল ও বন্ধুত্বপূর্ণ। তারা সবসময় তাদের মালিকের সঙ্গে থাকতে চায় এবং প্রায়ই কোল বা কাঁধে উঠে বসে। এই বিড়ালরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। তারা খেলনা ছুড়ে দিলে তা এনে দিতে পারে। যদি এমন একটি বিড়াল চান, যা সারাক্ষণ আপনার পাশে থাকবে। তাহলে বার্মিজ ভালো পছন্দ।
স্কটিশ ফোল্ড: স্কটিশ ফোল্ড বিড়ালদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো তাদের ভাঁজ হয়ে থাকা কান ও মিষ্টি স্বভাব। তারা তাদের মালিকদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর সবসময় কাছাকাছি থাকতে চায়। এই বিড়ালরা আদর পেতে ভালোবাসে এবং প্রিয় মানুষের পেছনে পেছনে ঘোরে।
স্ফিঙ্কস: স্ফিঙ্কস হলো লোমহীন বিড়াল, তবে ভালোবাসায় পূর্ণ। শরীরে লোম না থাকায় তারা উষ্ণতার জন্য মালিকদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পছন্দ করে। তারা খুব চঞ্চল, স্নেহশীল ও সবসময় মনোযোগ চায়। যদি এমন একটি বিড়াল চান, যা কখনো আপনাকে একা ছাড়বে না, তাহলে স্ফিঙ্কস আদর্শ পছন্দ।
অ্যাবিসিনিয়ান: অ্যাবিসিনিয়ান বিড়ালরা প্রচণ্ড প্রাণোচ্ছল ও কৌতূহলী। তারা সবকিছু ঘেঁটে দেখতে ভালোবাসে। আর যেকোনো কাজে অংশ নিতে চায়। এই বিড়ালরা খুব সামাজিক এবং দ্রুত আপনার কাছের বন্ধু হয়ে উঠবে। তারা খেলাধুলা, গাছে চড়া এবং মালিকের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসে।
টঙ্কিনিজ: এরা সায়ামিজ ও বার্মিজ জাতের সংকর। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ, কথা বলতে পছন্দ করে। তারাও সবসময় তাদের মালিকদের পাশে থাকতে চায়। এই বিড়ালরা খেলা ও আদর দুটোই ভালোবাসে, তাই পরিবার বা একাকী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত সঙ্গী হতে পারে।
যদি এমন একটি বিড়াল চান, যা কখনো আপনাকে একা ছেড়ে যাবে না। তাহলে এই জাতগুলোর মধ্যে যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন। এরা আদরপ্রিয়, কোলের উপর বসতে ভালোবাসে। মালিকদের সঙ্গে সময় কাটাতে আনন্দ পায়। আপনি যদি খেলাধুলাপ্রিয় সঙ্গী বা শান্ত স্বভাবের কোলবালিশ টাইপ বিড়াল চান। তাহলে এই ভালোবাসার পূর্ণ বিড়ালদের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দের একটি বেছে নিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস নাউ নিউজ