সেকশন

বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

ভারত‑পাকিস্তান সংঘাত ও মিয়ানমার পরিস্থিতি কি একই সূত্রে গাঁথা  

আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম

এপ্রিলে কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় ২৬ পর্যটক নিহতের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। শুরুতে সীমান্তে গুলিবিনিময়, টহল ও অতি-অবশ্যিকভাবে উভয়পক্ষের কর্তাব্যক্তিদের তরফে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে বিষয়টি আবদ্ধ থাকে। আশঙ্কা ছিলই যে, এই বাগ্‌যুদ্ধের কোনো এক অসতর্ক অবস্থা থেকে বিপদ ঘটে যেতে পারে। এখন সে রকমই পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষাপটে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে, তা হলো–মিয়ানমারের দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা পরিস্থিতির কি কোনোভাবে এর সঙ্গে যোগ আছে?

প্রশ্নটি একটু বেখাপ্পা মনে হলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা জানি যে, এই গোটা অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ জটিল আকার নিয়েছে। এই সমীকরণে বর্তমান বিশ্বের বড় বড় খেলোয়াড়েরা যুক্ত। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন তো বটেই রাশিয়াও যুক্ত। এই সমীকরণে ভারতের উপস্থিতিও বেশ শক্ত। পাকিস্তান চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দূরবর্তী মিত্র হিসেবে উপস্থিত। আবার সুদূর তুরস্কের উপস্থিতিও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। কিন্তু তুলনায় দুর্বল হয়েও এই বারোয়ারি বিবাদে বাংলাদেশ কীভাবে যেন ঢুকে বসে আছে। কীভাবে, সে প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে।

এর আগে গোটা বিশ্বব্যবস্থার নয়া বাঁক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই বাঁকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। সঙ্গে গ্রহের যেমন উপগ্রহ থাকে, তেমনি এ দুইয়ের মিত্র বিবেচনায় আরও বহু দেশ সামনে হাজির। তারা আপাতত এ দুই দেশের তৈরি করা বৃত্তে অবস্থান করলেও সামর্থ্য বাড়িয়ে নিজেদেরই আলাদা বৃত্ত তৈরির মনোবাঞ্চাও রয়েছে উল্লেখযোগ্য মিত্রদের।

ইউক্রেন অভিযান যেমন রাশিয়ার একার কোনো ব্যাপার নয়, এমনকি ইউক্রেনেরও, তেমনি এই ভারত‑পাকিস্তান সংঘাতও শুধু ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপার নয়। ঠিক যেমন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর শুধু সে দেশের বিষয় নয়।

বিরল খনিজ হোক বা চীনের বিআরআই প্রকল্প–এই গোটা অঞ্চল এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী নানা প্রকল্পের রুট বা কাঁচামালের মজুতের দরুনই এক জ্বলন্ত চুল্লির ওপর বসে আছে। পাকিস্তানে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) প্রকল্পের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। মিয়ানমারেও তাই। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের সংযোগ টানার কথা ছিল। অনেক বিবেচনার পর ভারত এই প্রকল্পে প্রবেশ করেনি। কিন্তু পুরো ত্যাগ করেছি কি? সোজা উত্তর–না। ত্যাগ করলে চীনের সঙ্গে এত দ্বন্দ্বমুখর সম্পর্ক সত্ত্বেও ভারত কোনোভাবেই ব্রিকসে নিজের অবস্থান ধরে রাখত না। আবার গ্রহণ করেনি বলেই চার দেশীয় জোট কোয়াডে যুক্ত হয়ে বসে আছে।

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে আহত হয় এক বালিকা। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ছবি: রয়টার্স

এখানে বলে রাখা দরকার যে, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও চীন একই সূত্রে গাঁথা। কারণ, ভারত মহাসাগর এবং সেখানে চীনের স্বার্থকে বিবেচনায় নিলে মিয়ানমার এবং আরব সাগর বিবেচনায় পাকিস্তানের বন্দর চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারের কোকোফু বন্দর ঘিরে চীন ৭৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে বসে আছে, যা ভারত মহাসাগর দিয়ে চীনা বাণিজ্যের দরজা। আর পাকিস্তানে যৌথ করিডর হিসেবে সিপিইসির অধীনে ২০২২ সালের মধ্যে এ বিনিয়োগ সাড়ে ৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে। এ দুই অঞ্চলে নিজেদের পদছাপ নিশ্চিত না করতে পারলে চীনের উচ্চাভিলাষী বিআরআই প্রকল্পকে খাবি খেতে হয়। আর এ কারণেই উভয় দেশে বিআরআইয়ের অধীনে বড় অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে চীন।

আসা যাক মিয়ানমারে। দেশটিতে বিশ্বের এই দ্বন্দ্বমুখর শক্তির প্রায় সবাই উপস্থিত। কারা এবং কীভাবে? জান্তা সরকারের সঙ্গে আছে রাশিয়া। তারা জান্তা সরকারকে মোট অস্ত্রের ৪০ শতাংশের ওপর দিয়ে আসছে। আছে চীন। তারা জান্তাকে সহায়তা দেয়, আবার বিদ্রোহী বেশ কিছু গোষ্ঠীকেও মদত দেয়। 

যুক্তরাষ্ট্র অং সান সু চির অংশ নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টকে সরাসরি স্বীকৃতি দিয়ে বসে আছে। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি হলো আরাকান আর্মি, যারা রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বসে আছে। এই আরাকান আর্মির ওপর চীনের যেমন প্রভাব আছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রেরও প্রভাব আছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে যেকোনোভাবে হোক আরকানকে আলাদা করে সেখানে তার সমর্থিত প্রশাসন বসাতে। এ জন্য একটা আঞ্চলিক স্বীকৃতি দরকার। আরকান আর্মির মধ্যে থাকা চীনা প্রভাবের দরুন এখনো তা সম্ভব হচ্ছে না। সঙ্গে রয়েছে চীনের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল জান্তা সরকার ও জান্তা সরকারের ছাতার নিচে থাকা বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

এ দৃশ্যেই ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে রাখাইনের জন্য 'মানবিক করিডর'-এর প্রসঙ্গ বেশ আলোচনায় এসেছে। সর্বশেষ আরাকান আর্মির প্রশাসনে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিত্ব চেয়ে বসেছে ঢাকা, যা মিয়ানমারের অখণ্ডতার বিষয়েই এক বড় প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার ঢাকার এই অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এমনকি জাতিসংঘের পৌরোহিত্যে কোনো সংলাপ হলে তারা তা মানবে না। কারণ, জাতিসংঘ শুধু এনইউজিকে স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে (যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এনইউজিকে স্বীকৃতি দেয়)। ফলে জটিলতা তো সুস্পষ্ট। ফলে ঢাকার তরফ থেকে এ ধরনের একটি ভাষ্য এলে বড় প্রতিক্রিয়া হওয়ার কথা। কিন্তু কে করবে সে প্রতিক্রিয়া?

এবার একটু অন্য দৃশ্য ঘুরে আসা যাক। কাশ্মীর নিয়ে যখন উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে, ঠিক তখন খেয়াল করুন–রাশিয়া জানাচ্ছে যে, তারা দিল্লির পাশে আছে। শুধু তাই নয়, ভ্লাদিমির পুতিন দিল্লি সফর করবেন বলেও জানাচ্ছে মস্কো। এবার জান্তা সরকারের সঙ্গে মস্কোর যৌথায়ন ও তাদের একীভূত স্বার্থকে মিলিয়ে দেখুন। বলার উপায় নেই যে, মস্কোর ইন্ধনেই ভারত পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে। বরং এটিও একটি সম্ভাবনা।

প্রশ্ন ওঠে যে, তাহলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কোথায় দাঁড়িয়ে। যুক্তরাষ্ট্র এত দূর এসে গায়ে খেটে কোনো যুদ্ধ করবে না–এটা বোকাও বুঝবে। যুক্তরাষ্ট্র এমনকি যুদ্ধ এড়াতে পারলেও খুশি। আর চীন কবে কোথায় সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে–খুঁজতে গেলে ঘেমে‑নেয়ে ক্লান্ত হতে হবে। অর্থাৎ, গোটা অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী অস্থিরতা বা সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হলেও সহজে বড় শক্তিগুলো এখানে কোনো যুদ্ধ সেভাবে বাধাবে না হয়তো। হয়তো বলা হচ্ছে কারণ, বাকিটা নির্ভর করছে এই অঞ্চলের সদা‑উত্তেজিত ও কম অনুসন্ধিৎসু মনের অধিকারী মানুষের ওপর।

হামলার পর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মোজাফ্ফরাবাদের চিত্র। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের আরাকান, চিন ও কাচিন চীনের জন্য ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। দুই কারণেই–বিরল খনিজ ও বিআরআই। আবার এই অঞ্চলে ভাগ বসাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বিআরআইয়ের সূতা ছিন্নও করতে চায় তারা। ফলে এখানে তাদের ছায়াযুদ্ধ অবধারিত। এই ছায়াযুদ্ধ যদি ভাড়াটে সেনা, কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী, তাদের দমনের জন্য কিছু সামরিক অভিযান ইত্যাকার সমীকরণ দিয়ে পুষিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে যুদ্ধে কে জড়ায়। চীন‑যুক্তরাষ্ট্র অন্তত সে অবস্থানে বেশ দৃঢ়। বাকি থাকে মস্কো। চীনের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে মস্কো নামবার সম্ভাবনা প্রবল বলা যায়। সেটা কী রকম?

যুক্তরাষ্ট্র ভূরাজনৈতিক দাবার কোর্টে আরাকান আর্মির প্রশাসনে রোহিঙ্গা অন্তর্ভূক্তির চাওয়ার কথা জানিয়ে ঢাকার মাধ্যমে একটা পরোক্ষ স্বীকৃতি দিয়ে বসল। এটা অনেকটা নতুন মানচিত্র ঘোষণার মতো বিষয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জান্তার মিত্র হিসেবে এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রিক জটিলতার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মস্কো ও দিল্লি অপর প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিল, ‘সন্ত্রাসী হামলার’ পাল্টা জবাব হিসেবে। ওই প্রান্ত বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে আবার বাংলাদেশ‑মিয়ানমার সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো মিত্র পাকিস্তানের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে মাথায় নিতে হবে।

ফলে কাশ্মীর হামলা যেমন, তেমনি এর জবাব হিসেবে পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক দাবাখেলার ছকে বসেই পাঠ করতে হবে। এখানে চীন পাকিস্তানের মিত্র, মিয়ানমারেরও মিত্র। আবার যুক্তরাষ্ট্র ভারতের মিত্র, আবার পাকিস্তানেরও মিত্র। মস্কো‑দিল্লি সম্পর্ক অনেক পুরোনো। মাঝে কিছুটা ছেদ পড়লেও তা উধাও হয়ে যায়নি। যায়নি যে, তার প্রমাণ পুতিনের ভারত সফরের বার্তা কিংবা ভারত‑পাকিস্তান সম্ভাব্য সংঘাতে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি। আর বাংলাদেশ?

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নানা গুঞ্জনের জেরে স্বপ্রণোদিত হয়েই বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো প্রক্সি ওয়ারে (ছায়াযুদ্ধে) জড়াবে না। এটা আশার কথা। কিন্তু ছায়া যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে কিনা, তেমন কোনো শঙ্কা আছে কিনা–সে বিষয়ে এখনই পরিষ্কার করা দরকার। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অস্পষ্টতা বড় বিপদ ডাকতে পারে। সামরিক সক্ষমতা কিংবা অর্থনৈতিক সক্ষমতা কোনো বিচারেই যুযুধান পক্ষগুলোর কোনোটিরই সমকক্ষ নয় বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা সেই সক্ষমতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন এই কিছুদিন আগে। সেটার প্রেক্ষাপটও আলোচনার দাবি রাখে। তবু তা এড়িয়ে এটুকু অন্তত বলা যায় যে, সেই আহ্বানের পর এই অল্প কদিনে বাংলাদেশ অন্তত তেমন কোনো সক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি।

গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্যাঙ্ক। আজ বুধবার লাহোরের কাছে মুরিদকে এলাকায়। ছবি: রয়টার্স

এ ক্ষেত্রে স্পষ্টতা দরকার আরও বড় একটি কারণে। আর তা হলো–পাকিস্তানে ৬ মে দিবাগত রাতে যে ভারতীয় হামলা হলো, সেখানে যারা নিহত হয়েছে, তাদের একটা অংশ সাধারণ, আর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যে হামলা হয়েছিল–তারাও সবাই সাধারণ। আরাকানে সংঘাতে যারা উদ্বাস্তু হয়েছে, যারা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বড় অংশের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা অতিসাধারণ, তারা বেসামরিক। কিন্তু যেকোনো যুদ্ধে এই বেসামরিক ও সাধারণেরাই তো প্রাণ দেয় সবার আগে। দিতে হয়। বিস্ফোরক ও আগুনের এই পৃথিবীতে সবার আগে জ্বলে‑পুড়ে মরে এই সাধারণ‑অতিসাধারণ নামের মানুষেরাই। ফলে কী হতে যাচ্ছে, কীভাবে হতে যাচ্ছে, কেন হতে যাচ্ছে–তার পূর্ণাঙ্গ ও পরিষ্কার চিত্র সাধারণের সামনে থাকা চাই। অনেকেই হয়তো জানেন, বলছেন না।

লেখক: উপবার্তা সম্পাদক, ডিজিটাল বিভাগ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন

[এই মতামত লেখকের নিজস্ব। এর সঙ্গে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রাতিষ্ঠানিক সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।]

সব ইরানি নিজ দেশের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য একটি ইসরায়েলি হামলার অপেক্ষায় আছে বলে ধরে নেওয়াটা ইরানি রাজনীতির চালিকাশক্তি সম্পর্কে গভীর বোঝাপড়ার অভাবকেই প্রমাণ করে। যদিও অনেক ইরানি...
অবশেষে যুদ্ধবিরতি। আমি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা বলছি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় শেষ পর্যন্ত দুই দেশ এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ভারতের রাজনীতির একটা বিশেষ অস্ত্র হলো পাকিস্তান-বিরোধী অবস্থান।...
অনেক বিশ্বনেতা পাকিস্তান ও ভারতকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে পরামর্শ দিচ্ছেন। যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়। কিন্তু পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করেনি। ভারত পানি আগ্রাসন দিয়ে শুরু করে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার...
উপমহাদেশে যেকোনো পারমাণবিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আঞ্চলিক, এমনকি বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত প্রভাব পড়বে। অতএব পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণের অধীনে থাকতে হবে এবং বৃহৎ শক্তিগুলো...
ভেঙে ফেলা হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ম্যুরাল। যেটি স্থাপন করা হয়েছিল বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ ভবন এবং পুরাতন কলা অনুষদ ভবনের মাঝামাঝি পুকুরের অংশে। ম্যুরালটি একজন নারী...
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.