সাকিব আল হাসান মিরপুর টেস্ট খেলে বিদায় নিতে চাইলেও সেটা আর তাঁর কপালে জোটেনি। গত কিছুদিনের নাটকের পর দেশে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলেও দুবাইয়ে পৌঁছানোর পর সাকিব জানতে পারেন, নিরাপত্তাশঙ্কায় তাঁকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে বিসিবি। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাই আর খেলা হলো না সাকিবের।
মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে হইচই অতটা নয়, তবে বাহ্যিকভাবে তো মাশরাফির ক্ষতিটাই বরং বেশি। নড়াইলে তাঁর বাড়িই পুড়িয়ে দিয়েছে একটি গোষ্ঠী।
বাংলাদেশের জাতীয় দলে পারফরম্যান্সের কারণে যাঁদের মানুষ বুকে টেনে নিয়েছিল, এমন দুজনের প্রতি এমন বিরাগের কারণ? সাদা চোখের বিশ্লেষণ বলবে, রাজনীতিতে জড়ানো। মাশরাফি ২০১৮ সালেই নির্বাচনে নেমে নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, সর্বশেষ ২০২৪ নির্বাচনেও জিতেছেন তিনি। সাকিব একই পথে হেঁটেছেন গত জানুয়ারির নির্বাচনে, মাগুরা-১ আসন থেকেও তিনি দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
কিন্তু গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাকিব ও মাশরাফি পড়েছেন জনরোষের মুখে। দুজনের নামই জড়িয়ে গেছে মামলায়।
এমন পরিস্থিতিতে দুজনের রাজনীতিতে জড়ানো নিয়েই আক্ষেপ ঝরে অনেকের কণ্ঠে। বাংলাদেশের সাবেক বাঁহাতি ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ফেসবুকে এক পোস্টেও মাশরাফি ও সাকিবকে নিয়ে দুঃখ জানিয়ে পোস্টে দুজনের রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন।
গতকাল মাশরাফি ও সাকিবের সঙ্গে তাঁর দুটি ছবি জুড়ে ফেসবুকে লেখা পোস্টে জুনায়েদ সিদ্দিকী প্রথমেই লিখেছেন ‘কেন আপনারা রাজনীতিতে জড়ালেন?’ প্রশ্নের পাশে দুঃখের ইমোজি। এরপর জুনায়েদ লিখেছেন, ‘…ওটা তো আমাদের পেশা না ভাই। আপনারা দুজনই আমাদের ক্রিকেটের কিংবদন্তি, এই পরিণতি আপনাদের প্রাপ্য নয়। একজন সতীর্থ হিসেবে আমার খুবই খারাপ লাগছে।’