ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে বিতর্ক কম হয়নি। বিসিবির আচমকা সিদ্ধান্ত বদল, ফের ইউটার্ন নিয়ে শাস্তি পিছিয়ে দেয়া সব মিলিয়ে ডিপিএল যেন পরিণত হয়েছিল সার্কাসের মঞ্চে। যার নেপথ্যে ছিল মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা ইস্যু।
এবার নিজের নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তাওহিদ হৃদয়। আজ তাঁর দল মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে আবাহনী।
মিরপুরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অপরাজিত ৭৮ রান ও মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে ৫৬ বল আগেই ৬ উইকেট হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী। নতুন করে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ায় মাঠে থাকতে পারেননি অধিনায়ক হৃদয়। দলের পরাজয়ের পর এক ফেসবুক পোস্টে মোহামেডানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হৃদয়।
সেই সঙ্গে হৃদয় আরও জানিয়েছেন, কিছু ঘটনা এখন বলতে পারছেন না, পরে বলবেন।
আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান অধিনায়কের বাকবিতণ্ডায় প্রথমে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা জোটে। কিন্তু এক ম্যাচ পরই নিয়মবহির্ভুতভাবে এক ম্যাচ কমিয়ে আনে আম্পায়ার্স কমিটি। অথচ, এই কমিটির সেই ক্ষমতাই নেই। পরে সমালচনার মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বোর্ড।
কিন্তু আবার তামিম ইকবালের নেতৃত্বে ক্রিকেটারদের অবস্থানের পর বোর্ড সে নিষেদ্ধাজ্ঞা এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মাঠে নেমেই আবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ঠি প্রকাশ করে এক ডিমেরিট পয়েন্ট জোগাড় করে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান।
সে দিকে ইঙ্গিত করে আজ এক ফেসবুক পোস্টে নিজের মতামত জানিয়েছেন হৃদয়।
পাঠকদের জন্য তাওহীদ হৃদয়ের সেই ফেসবুক পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘এবারের প্রিমিয়ার লীগে ২২ গজের বাহিরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে।
প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয়না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেনো পারছি না তা নাহয় পরেই বলবো!!
নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেনো ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ্য করতে হয়ঃ- হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।
মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’