দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে এল দেশটির স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) ও তাঁর স্ত্রীর ব্যবহার করা নানা জিনিস ও ঐতিহাসিক কিছু নথি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ফিনিক্স সেটেলমেন্ট ট্রাস্ট-গান্ধী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট থেকে নয়াদিল্লির জাতীয় গান্ধী জাদুঘরে এসছে এসব জিনিস। এর মধ্যে হাতে বোনা কাপড়ও রয়েছে।
গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর একটি লাল পাড়ের শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং তুলার তৈরি একটি মালার অংশও আনা হয়েছে। ওই মালাটি গান্ধী নিজেই তৈরি করেন।
এ ছাড়া ফেরত আনা নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিনিক্স সেটেলমেন্টের জন্য হস্তান্তরের দলিল, ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট, ইন্ডিয়ান ওপিনিয়নের প্রকাশনা লাইসেন্স-দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধীর ছেলে মণিলাল গান্ধী পরিচালিত একটি সংবাদপত্র-১৮৫৮ সালের ভারতীয় মতামত আইনের অধীনে একটি ঘোষণাপত্র এবং আরেক ছেলে দেবদাস গান্ধীকে মণিলালের লেখা চিঠিগুলো। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি জিনিস।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রাস্ট থেকে জাতীয় গান্ধী জাদুঘরে মহাত্মা গান্ধীর সাথে সম্পর্কিত প্রত্নবস্তু এবং নথিপত্র হস্তান্তর প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য হয়েছে। বাপুর জীবন এবং বার্তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান এবং ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন, ডারবানে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি ১৯০৪ সালে ফিনিক্স সেটেলমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিবন্ধিত গান্ধী উন্নয়ন ট্রাস্ট এবং ফিনিক্স সেটেলমেন্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে ফিনিক্স সেটেলমেন্টটি পরিচালিত হচ্ছে, উভয়ই দক্ষিণ আফ্রিকায় নিবন্ধিত অলাভজনক সংস্থা। গান্ধীর পরিবার বিশেষ করে তাঁর ছেলে মণিলাল সেখানে বসবাস করতেন।