বলিউড তারকা কিয়ারি আভানি এখন প্রেগন্যান্ট মাদার। তিনি সবসময়ই এমন স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করেন যা সহজ কিন্তু কার্যকর। তার রুটিনে রয়েছে ক্লিনজিং, হাইড্রেশন, সান প্রটেকশন এবং মিনিমাল মেকআপ। তিনি হোম রেমেডি, নাইট টাইম নারিশমেন্ট এবং ইনার ওয়েলনেসের মাধ্যমে তার ত্বককে উজ্জ্বল ও সুস্থ রাখেন।
কিয়ারির দিনের শুরু হয় ক্লিনজিং দিয়ে, যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ছাড়া ত্বক থেকে ময়লা দূর করে। তিনি বলেন, ‘সবাই ভালো ত্বক চান। তার জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করাও খুব জরুরি।’
প্রেগন্যান্সি সময়টাতে ত্বক হয়ে ওঠে অধিক সংবেদনশীল। এই বিষয়টি বেশ ভালোই জানেন অভিনেত্রী। তাই তো তিনি এই সময়টা রাসায়নিক মুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। যা একদম নিরাপদ ও কার্যকর। এ ছাড়াও যেসব বিষয় তিনি খেয়াল রাখেন তা হলো-
সান প্রটেকশন
কিয়ারি কখনই সানস্ক্রিন লাগাতে একদম ভুল করেন না। কারণ ত্বককে ইউভি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রেগন্যান্সি সময়ে ত্বক পিগমেন্টেশনের জন্য আরও বেশি সংবেদনশীল হতে পারে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
ইভিনিং সিরেনিটি
কিয়ারি তার দিনের শেষে মেকআপ ভালোভাবে তুলতেও খুব গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ‘মেকআপ তুলে ফেলুন, যতই দেরি হোক, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ!’ রাতে ত্বককে শ্বাস নিতে দিতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। ক্লিনজিংয়ের পর, তিনি একটি নারিশিং নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন। এটি ত্বককে সারারাত ধরে পুনরুজ্জীবিত এবং ঠিক করতে সহায়তা করে।
দাদির তৈরি টোটকা
কিয়ারি একটি হোমমেড ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন যা তার দাদি তাকে শিখিয়েছেন। এই প্যাকটি তৈরি হয় বেসন, দুধের ক্রিম (মালাই) এবং মধুর মিশ্রণে। এটি তার ত্বককে ডিটক্স করে এবং উজ্জ্বলতা আনে।
মেকআপ মিনিমালিজম
কিয়ারি মেকআপে কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তার মেকআপ রুটিনে সাধারণত স্কারস কনসিল করা। এছাড়াও ব্রাউজ ফিলিং, মাসকারা ব্যবহার, ব্লাশ অ্যাপ্লাই করা এবং লিপস্টেইন দেওয়া থাকে। তিনি বিশ্বাস করেন ‘কমই বেশি।’ মেকআপ যতটা কম ব্যবহার করা যায় ততোই মঙ্গল।
হাইড্রেশন এবং ওয়েলনেস
টপিক্যাল রেমেডির পাশাপাশি কিয়ারি জানেন যে, ইনার ওয়েলনেসও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তার দিন শুরু করেন এক গ্লাস পানি দিয়ে। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য শুধু ডিএনএ নয়, দৈনিক রুটিনও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ভালোভাবে খেতে চান, নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং প্রচুর পানি পান করেন। যাতে ত্বক ভিতর থেকে থাকে আর্দ্র।