মোটা সোল, একটু ভারী আকৃতির জুতা। আপনার চোখের সামনে নিশ্চয় ভেসে উঠছে পুরোনো দিনের সেই কেডসগুলোর কথা। স্নিকারের এমন লুক দেখে আপনার মতই মুখ ফিরিয়ে নিত তরুণরা। এটি ছিল শুধু ‘বাবাদের জুতা’ নামে পরিচিত। অথচ আজ সেই জুতাই ফ্যাশন দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত নাম।
অবাক লাগলেও সত্য, যা এক সময় হাঁটার সময় পরা হতো। তা-ই এখন র্যাম্পে হাঁটার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ-তরুণীরা এখন গর্ব করে বলছে, ‘ড্যাড স্নিকারসই আমাদের স্টাইল স্টেটমেন্ট।’
ড্যাড স্নিকারস আসলে কী?
এই জুতা সাধারণত বেশ বড় আকৃতির হয়। সাদামাটা—সাদা, ধূসর, কখনো বা হালকা বেইজ রঙের হয়ে থাকে। জুতার নিচের সোলটা বেশ মোটা। যা বেশ নরম এবং আরামদায়ক। তাই হাঁটতে গিয়ে পায়ে তেমন একটা চাপ পড়ে না। আর অনেকক্ষণ পরে থাকলেও ক্লান্তি আসে না।
এই জুতাগুলো আসলে তৈরি হয়েছে আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, আরামদায়ক হওয়া সত্ত্বেও এর মাঝে এমন একটা লুকাইত স্টাইল আছে। যা সাধারণ ভাবে আপনার চোখে পড়বে না। মনে হবে, ‘স্টাইল করিনি, কিন্তু তাও দারুণ লাগছে!’
ফ্যাশনের র্যাম্পে উঠল যেভাবে
প্রথমদিকে এই জুতা ছিল শুধুমাত্র ‘বাবাদের জন্য’। মানে হাঁটার জন্য। এই কাজটি বাবারা-ই বেশি করতেন এবং পরতেন। ছেলেকে স্কুলে নিতে যাওয়ার সময় বা বাজারে জেতে এই জুতা বেছে নিতেন তাঁরা। পরবর্তীতে বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এই ‘ড্যাড লুক’ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করল, তখনই বদলাতে থাকে ট্রেন্ড।
বিখ্যাত জুতার ব্র্যান্ডগুলো বড় মাপের, ভারী আকৃতির স্নিকারস তৈরি করতে শুরু করল। কেউ জুতার রঙে আনল হালকা টুইস্ট, কেউবা আবার আকৃতিতে দিল ব্যতিক্রমী স্টাইল। এই ধরণের ডিজাইন নজরে এল তরুণ প্রজন্মের। বিশেষ করে যারা একটু ব্যতিক্রম পছন্দ করেন।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া, র্যাম্প শো, ইনফ্লুয়েন্সারদের পায়ে পায়ে দেখা যেতে লাগল ড্যাড স্নিকারস। সেই থেকেই শুরু। তারপর আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
কারা পরছে এই জুতা?
এক সময় শুধু বাবারা পরলেও এখন ড্যাড স্নিকারস পছন্দের তালিকায় রয়েছে সবার। ছেলেরা পরছে ট্রাউজার আর হালকা শার্টের সঙ্গে, মেয়েরা পরছে স্কার্ট, কুর্তি বা ফ্লোয়িং ড্রেসের সঙ্গে। এমনকি শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে পরতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। কারণ একটাই, এটা যেমন আরামদায়ক, তেমনি দেয় স্মার্ট লুক। ফ্যাশনের জন্য যারা সবসময়ই একটু ভিন্নতা চায়, তাদের দারুণ অপশন হতে পারে এই ড্যাড স্নিকারস।
তথ্যসূত্র: গ্লাম, টাইমস নাউ