রান্নার জন্য ব্যবহৃত বাসন-কোসনের গুণগত মান ভালো হওয়া দরকার। সম্প্রতি কালো প্লাস্টিকের রান্নার উপকরণ নিয়ে নানা গবেষণা ছড়িয়েছে। যেখানে এসব পাত্রের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে বলা হয়েছে। আপনার সুস্থতার জন্য কী ব্যবহার করা উচিত, তা জানুন।
অনেক রান্নার কাজে আমরা কালো প্লাস্টিকের তৈরি চামচ, স্প্যাটুলা এবং স্টোরেজ কন্টেইনার ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় এসব কালো প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে তৈরি করা হয়।
কম্পিউটার, কফি মেশিন ও টিভির মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের কভার তৈরি করা হয় এসব তৈজসপত্র। এটি তৈরিতে আগুন প্রতিরোধক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিকগুলো রান্নার পাত্রে থাকলে তা খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসে করা এক গবেষণায় ২০০টিরও বেশি কালো প্লাস্টিকের পণ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে ডেকা-বিডিই (deca-BDE) নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে। যা ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (EPA) নিষিদ্ধ করে।
এই রাসায়নিকগুলো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং শিশুদের জন্য বেশি বিপজ্জনক। কারণ খেলনার মধ্যেও এই পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়।
আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, ৮৫% কালো প্লাস্টিকের রান্নার পাত্রে আগুন প্রতিরোধক রাসায়নিক রয়েছে। রান্নার সময় তাপের সংস্পর্শে আসার ফলে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা খাবারে মিশে যেতে পারে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তাহলে সমাধান কী?
সম্পূর্ণ প্লাস্টিক বাদ দেওয়া কঠিন হলেও, কিছু ছোট পরিবর্তন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। যেমন—
স্টিলের বাসন-কোসন ব্যবহার করুন: এটি সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না।
সিলিকন বা কাঠের রান্নার চামচ নিন: নন-স্টিক পাত্রের জন্য আদর্শ এবং সহজে হাত ধোয়া যায়।
প্লাস্টিক কম ব্যবহার করুন: বিশেষ করে গরম খাবার রাখার জন্য প্লাস্টিকের কন্টেইনার এড়িয়ে চলুন।
প্রতিটি উপকরণেরই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে। তবে সচেতনভাবে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো সম্ভব। তাই এখনই আপনার রান্নার উপকরণগুলোর দিকে খেয়াল দিন এবং ভালো বিকল্প বেছে নিন।
তথ্যসূত্র: মাইটাইমস, টাইমস নাউ