শিক কাবাব তুর্কি ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে। পরবর্তীতে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশও জনপ্রিয়তা পায়। ‘শিক’ শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘লোহার কাঠি’। তাই শিক কাবাব লোহার কাঠিতে গেঁথে তন্দুর বা চুলায় ভাজা হয়।
ছুটির দিনে বা অতিথি আপ্যায়নে শিক কাবাবের জুড়ি নেই। কিন্তু বাইরে না গিয়েও ঘরে বসেই বানাতে পারেন দোকানের মতো মজাদার কাবাব। চলুন দেখে নেই কীভাবে।
উপকরণ
গরুর মাংস (হাড় ছাড়া) ৫০০ গ্রাম, রসুন ১৪-১৫ কোয়া, আদা ২ ইঞ্চির টুকরো, পেঁয়াজ ১টি (টুকরো করা), কাঁচা মরিচ ২-৩টি, পুদিনা পাতা ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা ২ টেবিল চামচ, বেকিং সোডা ১/২ চা-চামচ, গরম মসলা ১ চা-চামচ, ভাজা ধনে গুঁড়া ১.৫ টেবিল চামচ, লাল মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, ভাজা জিরা গুঁড়া ১.৫ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ এবং তেল ১-২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি
একটি বড় পাত্রে মাংসের টুকরোর সঙ্গে সব মসলা ও উপকরণ একসঙ্গে মেশান। এবার চপার বা ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে কিমা বানিয়ে ফেলুন। আলাদা পাত্রে কিমার মধ্যে ঘি দিয়ে ভালো করে মথে নিন অন্তত ৪-৫ মিনিট। এরপর ঢেকে রেখে দিন ফ্রিজে ১ ঘণ্টা।
ফ্রিজ থেকে বের করে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে সমান করে কাবাব বানান। চাইলে শিকেও গেঁথেও নিতে পারেন। মাঝারি আঁচে ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে সব দিকে ভেজে নিন। ব্যস তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম শিক কাবার। পরিবেশন করুন রায়তা বা পুদিনার চাটনির সঙ্গে।
টিপস
- কাবাবগুলো হালকা করে ভেজে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
- ফ্রিজে এয়ার টাইট বক্সে রাখলে এক মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে।
- কাঁচা কিমা দিয়ে বানানো কাবাব কখনোই না ঢেকে ফ্রিজে রাখবেন না।