ইনডোর প্ল্যান্টের মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট খুবই জনপ্রিয়। নামে স্নেক প্ল্যান্ট হলেও সাপের সঙ্গে এই উদ্ভিদের কোনো সম্পর্ক নেই!
আসলে এই গাছের পাতার আকৃতি এবং হলদেটে ধারালো প্রান্ত দেখতে অনেকটা সাপের মতো। এ কারণেই গাছটিকে স্নেক প্ল্যান্ট বলা হয়।
শোভাবর্ধনের পাশাপাশি স্নেক প্ল্যান্টের বড় অবদান বাতাস বিশুদ্ধকরণে। বাতাস থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখে এই গাছ। বায়ু শোধনের জন্য বাড়ির বসার ঘর, শোবার ঘর ও রান্নাঘরে স্নেক প্ল্যান্টের টব অনায়াসে রাখা যেতে পারে।
বছরের যে কোনও সময় স্নেক প্ল্যান্ট লাগানো যায়। এই গাছের পাতা থেকেও নতুন গাছ হয়। একটি স্বাস্থ্যকর পাতা কেটে নিয়ে মাটির মিশ্রণে রাখুন। মাসখানেকের মধ্যে নতুন চারার দেখা মিলবে।
স্নেক প্ল্যান্ট পরিচর্যার জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। মনে রাখতে হবে, বেশি পানি দিলে এর গোড়া পচে যেতে পারে। তাই কম পানি দিতে হবে। বসন্ত থেকে শরৎ, এ সময়ে মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিন। আবার শীতকালে এক থেকে দুই মাসে শুধু একবার পানি দিলেই চলবে।
সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় স্নেক প্ল্যান্ট রাখা যাবে না। কারণ অতিরিক্ত আলো গাছের পাতা পুড়িয়ে ফেলতে পারে, যার কারণে পাতায় বাদামি দাগ দেখা যায়। সরাসরি সূর্যালোক এড়াতে গাছটিকে জানালা থেকে কয়েক ফুট দূরে রাখতে হবে।
যে পাত্র বা টবে স্নেক প্ল্যান্ট রাখা হবে, তাতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যেন ভালো থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। উর্বর দোঁআশ বা বেলে-দোঁআশ মাটিতে এই গাছ ভালো হয়। চার থেকে ছয় মাস অন্তর টবের মাটিতে অল্প পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া প্রতিবছর স্নেক প্ল্যান্টের টব ও মাটি বদলে দেওয়া উচিত।
ধুলোবালি বা ময়লার আস্তরণ জমে গেলে স্নেক প্ল্যান্ট গাছের পাতাগুলো মলিন দেখায়। তাই মাঝেমধ্যে স্প্রেয়ার দিয়ে পানি ছিটিয়ে পাতাগুলো ধুয়ে দেওয়া যেতে পারে।
স্নেক প্ল্যান্টের পাতা কিন্তু বিষাক্ত। ফলে এই গাছের পাতা মুখে গেলে অস্বস্তি, বমিবমি ভাব থেকে শুরু করে বিষক্রিয়াও হতে পারে। বিশেষ করে, বাড়িতে ছোট শিশু এবং বিড়াল, কুকুরের মতো পোষা প্রাণি থাকলে স্নেক প্ল্যান্টের টব তাদের নাগালের বাইরে রাখাই ভালো।