শীত আসি আসি করছে। কিছুদিনের মধ্যেই শখের বাগান ভরে উঠবে রঙবেরঙের শীতের ফুলে। কিন্তু মাটি তৈরির পদ্ধতি ভালো করে না জানার কারণে এতে সফল হতে পারেন না অনেকেই।
শীতকালে আমাদের ত্বকের মতো গাছেরও দরকার হয় বাড়তি যত্নের। শীত আসার আগেই তাই বাগান পরিচর্যা শুরু করে দেওয়া উচিত।
আর এর প্রথম ধাপ হলো টবের জন্য মাটি প্রস্তুত করা। কারণ মাটি ভালো না হলে গাছের বৃদ্ধি ও ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব নয়।
বেলে-দোঁআশ মাটি
ছাদে বাগান করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো বেলে-দোঁআশ মাটি। মাটি যদি এঁটেল বা শক্ত হয়, তাতে বালি মাটি মেশাতে হবে। আবার মাটি যদি বালি হয়, তাহলে এঁটেল মাটি মিশিয়ে দো-আঁশ মাটিতে রূপান্তর করতে হবে। মাটি ঝুরঝুরে হলেই বুঝবেন দো-আঁশ মাটিতে পরিণত হয়েছে।
জৈব সার
বাগানের টবের জন্য আরও চাই উপযুক্ত জৈব সার। টবের জন্য ভার্মিকম্পোস্ট সবচেয়ে উপযোগী জৈব সার।পাশাপাশি গোবর সার, পাতা পচা সার, কাঠ পোড়ানো ছাই, সরিষার খৈল, শাকসবজির খোসা প্রভৃতি জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গাছের বৃদ্ধি ও ভালো ফলনের জন্য মাটিতে চারভাগের একভাগ জৈব সার মেশাতে হবে। চারা বা বীজ লাগানোর শুরুর দিকে ১৫ দিনে একবার; এরপরে মাসে ১ বার করে জৈব সার প্রয়োগ করা উচিত।
মাটি শোধন
শীতের গাছের জন্য মাটি তৈরির সময়ই শোধনের কাজটি সেরে নেয়া যেতে পারে। এজন্য জৈব কীটনাশক বায়োডার্মা সলিড ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পরিমাণমতো নিম খৈল মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে কেঁচো, শামুক, পিঁপড়া প্রভৃতির উপদ্রব কমে যাবে।
মনে রাখবেন, নতুন গাছ বা চারা কিনে এনেই টবে বসানো যাবে না। টবে যেন আগাছা না জন্মায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। গাছের ছেঁড়া বা আধখাওয়া পাতা ছেঁটে দিন। গাছে আগে থেকে ফুল বা কুঁড়ি থাকলে তাও কেটে দিন। এতে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।