গরম যেন এবার তীব্র রূপেই ফিরে এসেছে। ঝড়-বৃষ্টি হলেও দিনের তাপদাহ একটুও কমছে না। দিনে একবার না একবার এসি চালানো যেন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। আর দিনে চালানো শুরু হলে, কাল বা পরশু হয়তো রাতেও চালাতে হবে। কিন্তু এসি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বিদ্যুতের বিল। শুধু এসিই নয়, বাড়ির অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রও তো নিত্যদিন চলছে। তাহলে উপায়?
চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা সহজ টিপস মেনে চললে এসি চলবে ঠিকই, কিন্তু বিল বাড়বে না। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো।
এসি পরিষ্কার রাখুন নিয়মিত
অনেকেই সার্ভিস ছাড়াই মাসের পর মাস এসি চালিয়ে যান। এতে এসির ভিতরে ধুলো জমে, বাতাস ঠিকভাবে বের হতে পারে না। ফলে যন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে, বিদ্যুৎও লাগে বেশি।
প্রতি মাসে একবার ফিল্টার খুলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। যাদের বাসায় ছাদে বা বারান্দায় আউটডোর ইউনিট আছে, সেটি যেন রোদে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। ছায়ায় থাকলে কমপ্রেসার সহজে গরম হয় না। এসিও কম বিদ্যুৎ টানে।
ফ্যানের সাহায্য নিন
শুধু এসি নয়, সঙ্গে চালান ফ্যানও। এতে ঘরে ঠান্ডা বাতাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এসির তাপমাত্রা একটু বাড়িয়ে দিলেও আরাম পাওয়া যায়। ফলে এসির ওপর চাপ কমে, বিদ্যুৎও বাঁচে।
তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৬ ডিগ্রিতে রাখুন
অনেকেই ভাবেন, তাপমাত্রা যত কম, ঘর তত ঠান্ডা। কিন্তু এতে বিল বাড়ে অনেক বেশি। এসির থার্মোস্ট্যাট ২৩-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলে সবচেয়ে কার্যকর হয়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে, এসিও বেশি খাটবে না।
এসি ছাড়াও ঠান্ডা রাখা যায় ঘর
দিনের বেলায় দরজা–জানালা বন্ধ রাখুন। যেন বাইরের গরম বাতাস ঢুকতে না পারে। গাঢ় রঙের মোটা পর্দা ব্যবহার করুন। বিকেলে তাপ কমলে জানালা খুলে দিন। ঘরের বাতাস চলাচল করলে তাপ জমে থাকবে না।
আর দিনের আলোয় বাড়তি লাইট জ্বালিয়ে রাখার দরকার নেই। অপ্রয়োজনীয় আলো নিভিয়ে রাখুন। এটাও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ভালো উপায়।
ছোট অভ্যাসে বড় সাশ্রয়
এসি চালিয়ে স্বস্তি পেতে চান? তাহলে একটু সচেতন হোন। যন্ত্রটা ঠিকঠাক চলছে কিনা দেখুন, দরকারে পরিষ্কার করুন। ফ্যান ব্যবহার করুন, তাপমাত্রা ঠিক রাখুন। দেখবেন ঘর ঠিকই ঠান্ডা থাকবে।
এই সহজ অভ্যাসগুলো মেনে চললেই এসিও চলবে, বিলও কমবে।