সেকশন

সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
Independent Television
 

আমেরিকা কেন বুরকিনা ফাসোর তরুণ বিপ্লবী নেতা ইব্রাহিম ত্রাউরেকে নিয়ে চিন্তিত

আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ত্রাউরে তাঁর দেশকে নতুন করে গড়ে তুলছেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি পশ্চিমা বিশ্বে শত্রু তৈরি করে ফেলেছেন। ২০২২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই তরুণ সামরিক নেতা ফরাসি সৈন্যদের দেশ ছাড়া করেছেন। পশ্চিমা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাড়িয়েছেন। নিজের দেশকে রাশিয়া, কিউবা ও ভেনিজুয়েলার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।

অভ্যুত্থানের চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়া ত্রাউরে প্যান-আফ্রিকান ঐক্য এবং জাতীয় আত্মনির্ভরশীলতাকে উৎসাহিত করছেন। এরমধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে একজন কট্টর সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং ওয়াশিংটন ও প্যারিসের রোষানলে পড়েছেন। মিন্টপ্রেস নিউজ রাজধানী উয়াগাদুগুতে চলমান এই প্রয়াস এবং এটিকে থামাতে চেষ্টা করা বৈশ্বিক শক্তিগুলোকে খুঁজছে।

বিপদের মুখে ত্রাউরে
সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, গত মাসে ত্রাউরে অল্পের জন্য একটি বিদেশি-পরিকল্পিত অভ্যুত্থান চেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। নিরাপত্তা মন্ত্রী মাহামাদু সানা বলেছেন, সামরিক জান্তা ১৬ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ভবনে হামলা চালানোর একটি ‘বড় চক্রান্ত’ বানচাল করেছে। তিনি জানান, চক্রান্তকারীরা আইভরি কোস্টে অবস্থান করছিল, যা ওয়াশিংটন-সমর্থিত একটি প্রতিবেশি দেশ। সেখানে সম্প্রতি আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ত্রাউরে পশ্চিমা সরকারগুলোর, বিশেষ করে আমেরিকার সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

গত ৩ এপ্রিল মার্কিন আফ্রিকা কমান্ডের (আফ্রিকম) কমান্ডার জেনারেল মাইকেল ল্যাংলি সিনেটের সামনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বুরকিনা ফাসোর নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং রাশিয়া ও চীনকে আফ্রিকায় সাম্রাজ্যবাদী ঘাঁটি স্থাপন করতে সাহায্য করার কথা বলেন। আফ্রিকম হলো পেন্টাগনের আফ্রিকার আঞ্চলিক কমান্ড, যা মহাদেশ জুড়ে মার্কিন সামরিক অভিযান, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের সমন্বয় সাধন করে থাকে, প্রায়শই যা সন্ত্রাস-দমন অভিযান হিসেবে অভিহিত হয়।

অভ্যুত্থানের দিন মার্কিন দূতাবাস বুরকিনা ফাসোর জন্য তাদের ভ্রমণ নির্দেশিকা পরিবর্তন করে নিজ নাগরিকদের ওই দেশ ‘ভ্রমণ করবেন না’ বলে সতর্ক করে দেয়। জানা গেছে, ল্যাংলি চলতি বছর অভ্যুত্থানের আগে ও পরে একাধিকবার আইভরি কোস্টের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তেনে বিরাহিমা ওয়াতারা-র সাথে দেখা করেন।

আসলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ত্রাউরে তাঁর দেশে পশ্চিমা শক্তিগুলোর প্রভাব একেবারে ভেবেচিন্তে সীমিত করছেন। এটিকে তিনি জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিষয় বলে অভিহিত করেছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তিনি ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেন এবং ফ্রান্সকে একটি ‘সাম্রাজ্যবাদী দেশ’ বলে আখ্যা দেন।

এক মাস পরে তিনি ফরাসি সৈন্যদের বুরকিনা ফাসো ছাড়ার নির্দেশ দেন। এই ঘটনা ফরাসি সাম্রাজ্যের প্রাক্তন অংশীদার পশ্চিম আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোকে একই কাজ করতে উৎসাহিত করে। বর্তমানে মালি, চাদ, সেনেগাল, নাইজার এবং আইভরি কোস্ট তাদের দেশ থেকে ফরাসি সেনাদের বিতাড়িত করেছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এর প্রতিক্রিয়ায় বুরকিনা ফাসো এবং অন্যান্য দেশকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে অভিযুক্ত করেন এবং যোগ করেন যে, এই জাতিগুলো ফ্রান্সকে “ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গেছে”।

ইব্রাহিম ত্রাউরে। সংগৃহীত ছবিত্রাউরের প্রশাসন পশ্চিমা সরকার-সমর্থিত বেশ কিছু গণমাধ্যমকে নব্য-ঔপনিবেশিকতার এজেন্ট আখ্যা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে। প্রথমে রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল এবং ফ্রান্স ২৪-কে বন্ধ করা হয়। এরপর ২০২৪ সালে ভয়েস অফ আমেরিকা, ব্রিটেনের বিবিসি এবং জার্মানির ডয়েচে ভেলে-কেও একই পরিণতি বরণ করতে হয়। এই পদক্ষেপগুলো পশ্চিমা সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই পদক্ষেপগুলোকে সরকারের ভিন্নমত দমনের ‘অভিযান’ বলে অভিযুক্ত করে।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে স্বাধীন, ফ্রান্স তার প্রাক্তন আফ্রিকান উপনিবেশগুলির ওপর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। ১৪টি দেশ সিএফএ ফ্রাঁ ব্যবহার করে, যা ফরাসি মুদ্রা ফ্রাঁ এবং বর্তমানে ইউরোর বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট হারে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর মানে হলো, ফ্রান্স (এবং এখন ইউরোপ) থেকে আমদানি এবং সেখানে রপ্তানি করা খুব সহজ। কিন্তু বিশ্বের বাকি অংশের সাথে একই কাজ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সিএফএ ফ্রাঁর মুদ্রানীতির ওপর ফ্রান্স ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা বজায় রেখেছে, যা এই আফ্রিকান দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে প্যারিসের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে।

ত্রাউরে সিএফএ ফ্রাঁ-কে এমন একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা “আফ্রিকাকে দাসত্বে আবদ্ধ রাখে” এবং একটি নতুন মুদ্রা তৈরির অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। মালি ও নাইজারের সাথে বুরকিনা ফাসো পশ্চিমা-সমর্থিত ইকোওয়াস (ECOWAS) আঞ্চলিক জোট থেকে বেরিয়ে এসে ‘অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি একটি প্যান-আফ্রিকান দেশের জোট, যা নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী আফ্রিকার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখে।

সাংকারার উত্তরাধিকার
এক সময় স্বপ্ন দেখতেন বুরকিনা ফাসোর বিপ্লবী নেতা থমাস সাংকারা। ত্রাউরের মতোই, সাংকারা ছিলেন একজন সামরিক কর্মকর্তা। তার বয়স যখন তিরিশের কোঠার প্রথম দিকে তখন ক্ষমতা দখল করেন তিনি। মাত্র চার বছরে তিনি জাতীয় উৎপাদনের গতি বাড়াতে এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে ব্যাপক সংস্কার করেন। ‘যে তোমাকে খাওয়ায়, সে তোমাকে নিয়ন্ত্রণ করে’—এই মন্ত্রে বিশ্বাসী হয়ে তিনি পুষ্টিকর, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য উৎপাদনের জন্য ঘরে, ছোট আকারের কৃষিকাজকে উৎসাহিত করেন।

যেখানে এই অঞ্চলের অনেক নেতা সরকারি তহবিল আত্মসাৎ করতেন, সেখানে সাংকারার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সামাজিক আবাসন ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করে এবং নিরক্ষরতা দূর করতে ব্যাপক কাজ করে। একজন নারীবাদী হিসেবে তিনি জোরপূর্বক বিবাহ এবং নারী যৌনাঙ্গ বিকৃতি নিষিদ্ধ করেন। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীকে ক্ষমতার উচ্চ পদে নিয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।

বুরকিনা ফাসোর সরকারপ্রধান ইব্রাহিম ত্রাউরে। ছবি: রয়টার্স১৯৮৭ সালে সাংকারাকে হত্যা করা হয়। ত্রাউরে ক্ষমতায় আসার পরেই সাংকারার হত্যাকারী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ব্লেইজ কমপাওরে-কে তাঁর অনুপস্থিতিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কমপাওরে আইভরি কোস্টে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।

ত্রাউরে নিজেকে সাংকারা এবং তার আন্দোলনের একজন অনুসারী হিসেবে দেখেন। তিনি ওই কিংবদন্তি নেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন কিনা তা নিয়ে পশ্চিমা ভাষ্যকারদের মধ্যে বিভেদ রয়েছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (পেন্টাগনের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক)-এর ড্যানিয়েল ইজেঙ্গার মতো কিছু লোক মনে করেন, এই তুলনা শুধুমাত্র সামরিক পোশাক এবং লাল বেরেটের প্রতি নেতার ঝোঁকেই শেষ হয়ে যায়। 

অন্যদিকে, দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের মতো অন্যরা দুঃখ প্রকাশ করছে যে, ত্রাউরে একজন প্রকৃত বিপ্লবী–যা বড় ব্যবসার জন্য খারাপ খবর নিয়ে আসে। তবে খুব কম লোকই অস্বীকার করতে পারে যে, তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। উদাহরণস্বরূপ, ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামা বলেছেন, ত্রাউরে জানুয়ারিতে তাঁর এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তিনিসহ অন্য যে কারো চেয়ে অনেক বেশি হাততালি পেয়েছিলেন।

ত্রাউরের অনেক উদ্যোগ সরাসরি সাংকারা কার্যক্রম দ্বারা অনুপ্রাণিত। নতুন সামরিক সরকার খাদ্যে সার্বভৌমত্ব অর্জনের ওপর জোর দিয়েছে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং চাল, ভুট্টা ও আলুর মতো প্রধান শস্যের উৎপাদন বাড়াতে এক শ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন উদ্যোগ চালু করেছে।

ত্রাউরে দেশের খনিজ শিল্পকে জাতীয়করণের পদক্ষেপও নিয়েছেন। বুরকিনা ফাসোর অর্থনীতি স্বর্ণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। যেখানে এই মূল্যবান ধাতু দেশটির মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি। দেশটি বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ। প্রতি বছর প্রায় ১০০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে, যার মূল্য প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। অথচ বিদেশি বড় প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানা থাকার কারণে সে দেশের মানুষ এই শিল্প থেকে সামান্যই উপকৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে বুরকিনা ফাসোর বার্ষিক জিডিপি মাত্র প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার।

ইব্রাহিম ত্রাউরে বলেছেন, “সম্পদে ভরপুর আফ্রিকা কেন বিশ্বের দরিদ্রতম অঞ্চল হিসেবে রয়ে গেছে? আফ্রিকার রাষ্ট্রপ্রধানদের সাম্রাজ্যবাদীদের হাতের পুতুল হওয়া উচিত নয়”। গত আগস্টে তার সরকার দুটি প্রধান পশ্চিমা মালিকানাধীন সোনার খনি জাতীয়করণ করে, যার জন্য মাত্র ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়, যা ২০২৩ সালে তাদের কথিত ৩০ কোটি ডলার বিক্রয় মূল্যের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। গত নভেম্বরে ত্রাউরে প্রশাসন দেশের প্রথম সোনা শোধনাগার নির্মাণের ঘোষণা দেয়।

যুদ্ধরত এক জাতি
বুরকিনা ফাসো এখনো সংকটে জর্জরিত একটি জাতি। দেশটি এবং প্রকৃতপক্ষে সাহেল অঞ্চলের একটি বড় অংশ সুসজ্জিত ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাথে এক ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত। এই গোষ্ঠীটি ন্যাটোর ২০১১ সালের লিবিয়ায় হস্তক্ষেপের পর থেকে ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি লাভ করে। তারপর থেকে লিবিয়া উগ্রবাদের উৎস হয়ে উঠেছে, যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। অনুমান করা হয় যে, দেশটির প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেট-সংশ্লিষ্ট বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০২৪ সালে বুরকিনা ফাসোতে এই গোষ্ঠীগুলোর হাতে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

ভিডিও দেখুন:এই কারণেই ত্রাউরে ক্ষমতা গ্রহণের সময় যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করার পক্ষে যে যুক্তি দিয়েছেন তা অনেক সমালোচনার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “[নির্বাচন] অগ্রাধিকার নয়; স্পষ্টতই, নিরাপত্তাই অগ্রাধিকার।” বুরকিনা ফাসোর জনগণ এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে কিনা, তা এখন দেখার।

কর্ম নামের গ্রামটির ঘটনা সম্ভবত এই যুদ্ধের সবচেয়ে বিতর্কিত পদক্ষেপ। সেখানে ২০২৩ সালে প্রায় ১৫০ জনকে হত্যা করা হয়। যদিও সরকার এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকেই দায়ী করেছে।

ইব্রাহিম ত্রাউরে ও ভ্লাদিমির পুতিনত্রাউরে বিদ্রোহ দমনকারী ফরাসি বাহিনীকে বিতাড়িত করলেও, রুশ সামরিক উপদেষ্টাদের স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি ৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে মস্কো গেছেন। এমন পদক্ষেপ ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলসে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী চীন ও রাশিয়ার ওপর মনোযোগ দেওয়ায় এবং পশ্চিম আফ্রিকায় ফরাসিরা আগের চেয়ে দুর্বল অবস্থানে থাকায়, সামরিক হস্তক্ষেপ একটি বিকল্প কিনা তা স্পষ্ট নয়। বরং একটি অভ্যুত্থান চেষ্টা বা গুপ্তহত্যার আশঙ্কা  বেশি বলেই মনে হচ্ছে।

সময়ই বলে দেবে, ত্রাউরে তাঁর নায়ক থমাস সাংকারার মতো বুরকিনা ফাসোর ওপর অমোচনীয় ছাপ ফেলতে পারবেন কিনা। অনেক আফ্রিকান নেতা খোলনলচে বদলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও তার প্যান-আফ্রিকানিজম, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধিতা এবং আত্মনির্ভরশীলতার বার্তা অবশ্যই একটি অনুরণন তৈরি করছে। ত্রাউরে নিশ্চিতভাবে কথা বলছেন। এখন তাকে কাজ করে দেখাতে হবে।

অ্যালান ম্যাকলিয়ড: আমেরিকান বাম ঘরানার সংবাদ ওয়েবসাইট মিন্টপ্রেস নিউজের একজন সিনিয়র স্টাফ রাইটার।
 
(লেখাটি মিন্টপ্রেস নিউজ (এমপিএন)-এ প্রকাশিত এবং ইংরেজি থেকে ঈষৎ সংক্ষিপ্তাকারে অনুবাদ করা হয়েছে।)

ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় অর্থায়ন ও সমর্থন বাড়াতে, সহায়তা ও সামরিক সমর্থন বৃদ্ধি করতে এবং নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে। ইউরোপ ও কানাডা বনাম আমেরিকার ভিন্ন ভিন্ন অগ্রাধিকারের...
ইরানের ওপর ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর আন্তর্জাতিক যেসব রাজনীতিক এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তাদের অন্যতম কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। নিজে দুরাযোগ্য ক্যানসারে অসুস্থ থাকার পরেও ইসরায়েল ও আমেরিকার...
কীভাবে ইসরায়েল গত ১৩ জুনের আকস্মিক হামলার প্রথম প্রহরে ইরানি ভূখণ্ডের ভেতর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণকারী ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল? এটাকে রুশ সামরিক ভাষ্যকারেরা ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে...
ইরানের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকে সমর্থন করা হবে একটি ভয়াবহ ভুল। যুদ্ধে না গিয়ে, ট্রাম্পের উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করে নেতানিয়াহুকে সংযত করা এবং জরুরিভাবে একটি কূটনৈতিক সমাধানের...
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে হাসান খান শাহেদ (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন।
মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বন্ধ থাকবে। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি...
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরেফিন সিদ্দিক সুজনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লোডিং...

এলাকার খবর

 
By clicking ”Accept”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and improve marketing.