সিডনির গ্রেস্টেইন কমিউনিটি সেন্টারে রোববার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন করেন জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি সুজিত দাস ও সম্পাদক ড. সুভাষ সাহা এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কামরুল মান্নান আকাশ ও সম্পাদক মাহমুদুল হক বাদল। পরে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা প্রার্থনা করা হয়।
এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। পুরো অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে অ্যালামনাইয়ের সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনটি সংগীত পরিবেশন করেন। তাঁরা হলেন জ্যোতি বিশ্বাস, অনুপম গোস্বামী ও অদিতি রাউত। আবৃত্তি করেন ফাহিমা মাহজাবিন চন্দ্রা, কবিতা রায় ও লাবণ্য শিল্পী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা ঢাবি শোক দিবসের ইতিহাস ও কার্যকারণ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেন। সেগুলো হলো– জগন্নাথ হলের ভবন ধ্বসের পরবর্তীতে আহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসা সর্বস্তরের মানুষের সহ-মানবতার প্রকাশ, দুর্ঘটনা পরবর্তী তদন্তের রিপোর্ট অদ্যাবধি জনসমক্ষে প্রকাশ না করায়, ক্ষোভ প্রকাশ এবং অনতিবিলম্বে সে রিপোর্ট প্রকাশ ও রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা, নিহত ও আহতদের নিজস্ব ও পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতি জানা ও প্রয়োজনীয় সাহায্যের উদ্যোগ নেওয়া।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি কামরুল মান্নান আকাশ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, তিনি সেই রাতে হাজির হয়েছিলেন জগান্নাথ হলে এবং দেখেছিলেন সেই বীভৎস দৃশ্য। তুষার দাসের সভাপতিত্বে ও কবিতা রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও নস্টালজিক হয়ে ওঠে। সংগঠনের সদস্যরা ও তাঁদের পরিবার উপস্হিত হয়ে অনুষ্ঠানটিকে পূর্ণতা দান করেন।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের টিভি রুমের ছাদ ধ্বসে ৪০ জন শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অতিথির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ দিনটিকে ঢাবি শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।