২৯ বছর পর ঘরের মাঠে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট, কিন্তু পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে শূন্য হাতেই! গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড আর ভারতের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা ভেসে যায় বৃষ্টিতে। তাতে আট দলের টুর্নামেন্টে সপ্তম হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করে পাকিস্তান।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এমন ভরাডুবি আর ক্রিকেটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এবার সেই সমালোচকদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। সাবেক এ অলরাউন্ডারের মতে, অধিনায়ক, কোচ কিংবা বোর্ডের শীর্ষপদগুলোতে বারবার বদল এলেও সেটা সুফল বয়ে আনেনি। বরং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। সেই পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে আফ্রিদি মন্তব্য করেছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেট এখন আইসিইউতে আছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতা ভুলতে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আর ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান দল। কিউইদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে বাবর ও রিজওয়ানকে রাখেনি পাকিস্তান। পরিবর্তে অধিনায়কের ভার দেওয়া হয়েছে শাদাব খানকে। আর দীর্ঘদিন পর দলে ফিরিয়েই সহ-অধিনায়ক বানানো হয়েছে শাদাব খানকে।
এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে আফিদ্রি বলেছেন, ‘কীসের ভিত্তিতে ওকে (শাদাব খান) দলে ফেরানো হলো? ঘরোয়া ক্রিকেটে কী এমন পারফরম্যান্স আছে, যার কারণে ওকে আবার দলে ফেরানো হবে!’
এরপর পাকিস্তান ক্রিকেটের অবস্থা সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে আফ্রিদি বলেছেন, ‘সব সময় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলি। আর যখন আইসিসি ইভেন্ট আসে, আমরা আবারও ব্যর্থ হই। এরপর আমরা বলি, সার্জারি করা লাগবে। বিষয়টা হচ্ছে, ভুল সব সিদ্ধান্তের জন্য পাকিস্তানের ক্রিকেট এখন আইসিইউতে আছে।’
আর এ জন্য বোর্ডকে দায়ী করে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘বোর্ডের সিদ্ধান্ত আর নীতিমালায় কোনো ধারাবাহিকতা নেই। আমরা বারবার অধিনায়ক, কোচ কিংবা কখনো কখনো খেলোয়াড় পরিবর্তন করছি। কিন্তু দিন শেষে বোর্ড কর্মকর্তাদের জবাবদিহি কোথায়?’
আফ্রিদির দাবি, কোনো টুর্নামেন্টে ভরাডুবির পর চলে একে অন্যকে দোষ দেওয়ার খেলা। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেছেন, ‘কোচরা তাদের চাকরি বাঁচাতে খেলোয়াড়দের দোষ দিচ্ছে, আবার ম্যানেজমেন্ট তাদের জায়গা ধরে রাখতে দোষ দিচ্ছে কোচ ও ক্রিকেটারদের ওর। এটা খুবই দুঃখজনক। কোচ ও অধিনায়কের মাথার ওপর সবসময় খড়্গ ঝুলতে থাকলে, আমাদের ক্রিকেট কীভাবে এগিয়ে যাবে?’