পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে রোমে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে গতকাল শনিবার ভ্যাটিকান ব্যাসিলিকার একটি হলে এই দুই নেতা একান্তে বৈঠক করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টাটি আবার পুনর্জ্জীবিত করতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কি এই বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর জেলেনস্কি বলেন, তিনি যে ধরনের শান্তির আশা করছেন, সেই শান্তি যদি এই বৈঠক থেকে আসে, তবে এটি হবে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রও এই বৈঠককে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় এই দুই নেতা তাঁদের কোনো সহকারী ছাড়াই প্রায় ১৫ মিনিট একান্তে কথা বলেছেন। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে এবং ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত ছবিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কিকে বৈঠক করতে দেখা গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। এরপর ভ্যাটিকানের এই বৈঠকটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
ভ্যাটিকান ত্যাগ করার পর ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে লেখেন, ‘গত কয়েক দিনে বেসামরিক এলাকা, শহর ও নগরে পুতিনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কোনো কারণ ছিল না। এটি আমাকে ভাবতে বাধ্য করছে যে, তিনি হয়তো যুদ্ধ বন্ধ করতে চান না। তিনি শুধু আমাকে বোকা বানাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কিয়েভের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাথ্যমের প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে দেওয়া একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘বৈঠকটি ফলপ্রসূ হয়েছে। একান্তে আমরা অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছি। আলোচিত সমস্ত বিষয় থেকে আমরা একটি ফলাফলের আশা করি।’
জেলেনস্কি আরও লিখেছেন, ‘আমরা যা আশা করছি, সেগুলো হচ্ছে—আমাদের জনগণের জীবনের সুরক্ষা। একটি সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি। একটি নির্ভরযোগ্য এবং স্থায়ী শান্তিচুক্তি যা যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি রোধ করবে।’