ভোলায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। জেয়ারের পানিতে প্লাবিত চরাঞ্চলগুলোর অধিকাংশ এলাকার পানি নেমে গেলেও এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে বহু এলাকায়। পানি নামার সময় অনেক ঘরের ভিটা মাটি ধুয়ে গেছে। দুর্ভোগ কাটেনি ভুক্তভোগী মানুষের।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলগুলোতে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে, পাঠানো হচ্ছে শুকনো খাবারসহ ত্রাণের চাল। যাদের ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেছেন, এখনও ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় খাবার ও ত্রাণ পৌঁছায়নি। অর্ধাহার আর অনাহারে দিন কাটছে মানুষের। তজুমউদ্দিনে জলকপাটের (স্লুইসগেট) রিং বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ যে দুর্ভোগে পড়েছে তা এখনও কমেনি।
এ নিয়ে কথা হয় প্রেসক্লাব সভাপতি রফিক সাদীর সঙ্গে। তিনি এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলা ২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদ্দৌলা বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে পানির উচ্চতা বাড়ায় আগের নীচু বাঁধ আরও উঁচু করার জন্য জলকপাট পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এ জন্য নির্মাণ করা হয় বিকল্প রিং বাঁধ, যা জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে যায়। গতকাল শুক্রবার বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে ভোলার আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে।