জয়পুরহাটে অর্থোপেডিক চিকিৎসক আতাউল হকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী রোগী। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই রোগী।
ভুক্তভোগীর নাম আবু হায়াত। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আবু হায়াতের স্ত্রী মুক্তি বেগম, একই গ্রামের রুম্মন হোসেন, আমজাদ হোসেনসহ এলাকাবাসী।
আবু হয়াতের অভিযোগ, দুর্ঘটনায় তাঁর ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেলে তিনি ডা. আতাউল হকের কাছে যান। গত ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদান করেন। সেই থেকে তিনি ডা. আতাউল হকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে থাকেন।
আবু হায়াত জানান, এরই এক পর্যায়ে আমার ক্ষতস্থানে পচন ধরে হাড় পর্যন্ত ঘা হয়। এরপর ডা. আতাউল হক নিয়মিত চিকিৎসা দিলেও অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই চিকিৎসক আমাকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে বলেন। এরই মধ্যে আমার খরচ হয় আরও প্রায় দুই লাখ টাকা। এই চিকিৎসা নিতে গিয়ে আমার সহায় সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে। এখন আমি নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন। এরপরও আমি পঙ্গুত্ববরন করতে চলেছি। আমি ক্ষতি পূরণসহ ডা. আতাউল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে ডা. আতাউল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আবু হায়াত অন্য কোথাও চিকিৎসা নিয়ে যখন আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন, তখন তার পায়ের ক্ষতস্থানে ইনফেকশন ছিল, অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তাকে আমি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু তিনি ঢাকা চিকিৎসা নেওয়ার আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কথা জানান। এ অবস্থায় আমার কাছে বারবার আসলে মানবিক কারণে আমি শুধু ড্রেসিং করে ওষুধ লিখে দিতাম মাত্র।’