বিশ্ববাজারে এক দশকে স্বর্ণের দামে সবচেয়ে তেজীভাব ছিলো ২০২৪ সালে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, এবং মার্কিন সুদের হার বাড়ার প্রভাবেই স্বর্ণের দাম বেড়েছে, বলছেন বিশ্লেষকরা। বিনিয়োগের ঝুঁকি এড়াতেও র্স্বণের ওপর আস্থা রাখছেন অনেকে।
নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ সব সময়েই বিশ্ববাজারে সমাদৃত। বছরজুড়ে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উত্তেজনা, জ্বালানির চাহিদা কমাসহ নানা অনিশ্চয়তায় বছর জুড়েই স্বর্ণের বাজার ছিল চড়া।
বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে স্বর্ণের দাম। প্রতি আউন্স, অর্থাৎ আঠাশ দশমিক ৩ গ্রাম স্বর্ণে দাম পৌঁছায় ইতিহাসে রেকর্ড ২৮শ ডলার বা ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকায়। বছরের শেষ দিনে স্পট গোল্ডের দাম দশমিক ১ ভাগ বেড়ে প্রতি আউন্স ২৬শ ডলারের বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ইউ.এস. গোল্ড ফিউচারসও দশমিক এক শতাংশ বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের দাম আগামীতে আরও বাড়তে পারে। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতির কারণে মূল্যবান এ ধাতুটির চাহিদা বাড়ছে। এ ধারা চলতে থাকলে শিগগির প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার বা ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছাড়াতে পারে।
এদিকে, স্পট মার্কেটে রুপার দাম প্রতি আউন্স সাড়ে তিন হাজার টাকায় স্থিতিশীল আছে। প্ল্যাটিনামের দামও ৯শ ডলার বা ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় অপরিবর্তিত আছে।