টেক্সটাইল মিলগুলোর জন্য ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আগামীতে এ ব্যবসা পরিচালনাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এ দাবি করেন। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে ব্যবসার পরিবেশ তৈরির তাগিদ দেন তারা।
দেশে টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগ প্রায় ২৩ কোটি ডলার। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। তবে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে টেক্সটাইল মিলগুলোর জন্য ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর যুক্ত করা হয়েছে। ফলে, এই খাতে মোট করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ শতাংশে। যা আগামীর ব্যবসা পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে জানায় বিটিএমএ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে জ্বালানি সংকট, মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা সংকটে এই খাতে উৎপাদন খরচ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। বাজেটের আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিটিএমএ সহ-সভাপতি সালেউদজ্জামান খান বলেন, ‘যে বাজেট হলো, এই বাজেটে আমাদের সাথে আলোচনা করা হলো, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে ধরনের পরামর্শ নেওয়া হয় ওই পরামর্শের একটি ব্যপারও কিন্তু আমরা চূড়ান্ত বাজেটে দেখিনি। তাহলে এই লোক দেখানো আলোচনার কি প্রয়োজন?’
সোমবারের মধ্যে তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহারসহ কর্পোরেট ট্যাক্স ১৫ শতাংশ পুনর্বহালের দাবি জানায় বিটিএমএ। এছাড়া, দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কর প্রত্যাহার জরুরি বলে মনে করে সংগঠনটি।
বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘সরকারের সব জায়গা থেকে ব্যবসা করা উচিত না। এটা সরকারের মডেলও হওয়া উচিত না। যেমন আপনি কি স্বাস্থ্য থেকে, শিক্ষা থেকে ব্যবসা করবেন? না, বহির্বিশ্বে এটা করে না। আজকে আমাদের সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করে টেক্সটাইল এবং আরএমজি। সবচেয়ে বেশি ফরেন কারেন্সি আর্ন করে, এটা টেক্সটাইল অ্যন্ড আরএমজি। আপনি এটাকে আরও বিপদগ্রস্ত করছেন।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ কম। এ অবস্থায় দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ কমিয়ে ব্যবসার পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান বিটিএমএ সভাপতি।