চলতি বছরের নভেম্বরে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল’ এর ৬২ তম আসর। যেখানে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন। এবার বাংলাদেশ থেকে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪’ এর প্রতিনিধিত্ব করবে নুজহাত তাবাসসুম এফা। তার আগে ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’-এ সেরার খেতাব অর্জন করে নেয় এফা।
এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় উদীয়মান তারকা হিসেবে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জাপানের রাজধানী টোকিতেও অনুষ্ঠিতব্য মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪-এ তাঁর অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ বছরের প্রতিযোগিতার মূল থিম ‘সাটেইনেবিলিটি ইন পেজেন্ট্রি’। এই থিমকে বেছে নেওয়ার কারণ জাপানের জাতীয় সংস্থাগুলোকে স্বাধীন, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী হতে উদ্বুদ্ধ করা।
৩ অক্টোবর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরে দেশের আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজরা মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেন, ‘এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এই সুযোগ আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ আমরা চাই বাংলাদেশের তরুণীদের ক্ষমতায়ন, ফ্যাশনের বাইরের বৃহত্তর জগতে তাদের স্বপ্নপূরণে সহায়তা করতে। আমাদের ক্যাম্পের উদীয়মান ও অসাধারণ প্রতিভাধর এফা তাঁর মেধার ঔজ্জ্বল্য প্রদর্শন করবেন মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায়। এজন্য আমরা কেবল উচ্ছ্বসিত নই বরং আরো আনন্দিত।’
মিস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক স্টিফেন দিয়াজও বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমাদের ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি সত্যিই দারুণ। সৌন্দর্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও অসাধারণ দক্ষতার জন্য সুবিদিত। এএমটিসির সঙ্গে আমাদের এই গাঁটছড়া অনন্য সম্মানের বিষয় এবং আমরা ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর অগ্রগতি দেখার অপেক্ষায় আছি।’
এবছরের ১২ নভেম্বর টোকিও ডোম সিটি হলে অনুষ্ঠিত হবে মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪। এই ইভেন্টে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন। এই আসরে তারা উদযাপন করবেন সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং বৈশ্বিক সম্প্রীতির অনন্যতা।
উল্লেখ্য, ‘মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২৪’ বাংলাদেশ পর্বের আয়োজনের লাইসেন্স পায় আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি)। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী মডেলদের থেকে সেরাকে খুঁজে নেন মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ। আর এই আয়োজনের স্পন্সর হিসেবে কাজ করেছে জাপানি ব্র্যান্ড শোকুবুতসু।