ছুটিতে প্রকৃতির কোলে একটু নিরিবিলি সময় কাটাতে চান? তাহলে বালি হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। গাঢ় নীল সমুদ্র, ঝকঝকে সাদা বালুর সৈকত আর আগ্নেয়গিরির আঁচে গড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বালি পর্যটকদের কাছে বরাবরই পছন্দের।
ট্রিপ ডটকম তাদের প্ল্যাটফর্মের শত শত গ্রাহক-পর্যালোচনা, বিক্রির পরিসংখ্যান ও স্থানভিত্তিক আকর্ষণের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে বালিই পেয়েছে সবচেয়ে বেশি নম্বর।
যে কারণে যেতে পারেন এই দ্বীপটিতে-
ভিড়ের বাইরে, প্রকৃতির কোলে
বালির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ শুধু সমুদ্রতট নয়। এখানকার সার্ফ সংস্কৃতি, স্থানীয় আতিথেয়তা, আর অনাবিষ্কৃত কিছু জায়গা একে করে তুলেছে আলাদা। যারা মূল শহরের ভিড় এড়িয়ে একটু নির্জনতায় সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য বালিতে রয়েছে বেশ কিছু চমকপ্রদ স্থান।
সিদেমেন উপত্যকা
বালির দক্ষিণাঞ্চল বা উপকূলীয় এলাকায় পর্যটকের ভিড় যতটা, সিদেমেন ঠিক ততটাই শান্ত। সবুজ ধানখেতের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে বেড়ানো, সকালে কুয়াশার মধ্যে গ্রাম্য পথ ধরে হাঁটাহাঁটি। সব মিলিয়ে যেন ছবির মতো কোনো দৃশ্য।
তেগাল ওয়াঙ্গি সৈকত
দক্ষিণ বালির বুকিত উপদ্বীপে অবস্থিত তেগাল ওয়াঙ্গি সৈকত এখনও অনেকের অজানা। চুনাপাথরের খাঁজে লুকিয়ে থাকা এই সৈকতে জোয়ারের সময় দেখা মেলে এক গোপন গুহার। এখানে বসে সূর্যাস্ত দেখা, ঢেউয়ের শব্দ শোনা, অভিজ্ঞতাটুকু হয় একান্তই নিজের।
পুরা পালুয়াং বা ‘গাড়ির মন্দির’
নুসা পেনিদা দ্বীপে ঘন সবুজের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে সাদা বালিপাথরের তৈরি এক ব্যতিক্রমধর্মী মন্দির। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এর মূল চত্বরে রয়েছে দুটি পাথরে খোদাই করা গাড়ির মূর্তি। একটি জিপ, আরেকটি ভক্সওয়াগন বিটল। তাই স্থানীয়দের কাছে এর নাম ‘গাড়ির মন্দির’।
সার্ফিং থেকে সনাতনী সংস্কৃতি
বালির সার্ফ স্কুলগুলো, বিশেষ করে গডেস রিট্রিটস, শুরুতেই পর্যটকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। পর্যটকরা শুধু সার্ফিং নয়, বালির সনাতনী জীবনধারা ও সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হন।
বালি যেন একসঙ্গে আধুনিকতা আর প্রাচীন ঐতিহ্যের মেলবন্ধন। তাই পর্যটকদের কাছে এটি শুধু একটি ছুটির গন্তব্য নয়, বরং এক অভিজ্ঞতা। যা ফিরে এসেও বহুদিন মনে গেথে থাকবে।