দু’জনেই ছিলেন রূপালি পর্দার কিংবদন্তি। এক জন কণ্ঠের জাদুকর, আর অন্য জন অপরূপা রূপসী। প্রেম, বিচ্ছেদ, বিয়ে আর মৃত্যু—সব মিলে কিশোর কুমার ও মধুবালার জীবনের গল্প যেন এক করুণ উপন্যাস।
এক সময়ে প্রেমে পড়েছিলেন দিলীপ কুমার ও মধুবালা। কিন্তু সেই সম্পর্কে মধুবালার বাবার মত ছিল না। ফলত, ভেঙে যায় সেই প্রেম। পরে কিশোর কুমারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মধুবালা। যদিও তখনই কিশোর জানতেন, মধুবালার শরীর ভালো নেই। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও অসুস্থ। তবুও আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছিলাম। স্ত্রী হিসেবে ওকে ঘরে এনেছিলাম। আমি জানতাম ওর হৃদযন্ত্রে সমস্যা, এবং ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল।’
সেই সময়টা কতটা কষ্টের ছিল, তা নিয়েও খোলামেলা বলেছিলেন কিশোর।
‘দীর্ঘ ৯ বছর আমি ওর সেবা করেছি। নিজের চোখের সামনে ওর মৃত্যু দেখেছি। না ঘটলে, কেউ অনুভব করতে পারবে না সেই যন্ত্রণা। কী অপরূপ সুন্দরী ছিল ও! শেষ সময়ে প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিল। হতাশায় চিৎকার করত। একজন কর্মঠ মানুষ যদি নয় বছর শয্যাশায়ী থাকে, তাঁর জীবনটা কীভাবে ভেঙে পড়ে, সেটা কল্পনাও করা যায় না’—বলেন এই গায়ক।
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ডাক্তার বলেছিলেন, সব সময় ওকে হাস্যরসে ভুলিয়ে রাখতে। সেটাই করতাম। শেষ দিন পর্যন্ত আমি ওর সঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি।’
তবে এই সম্পর্কের আর এক দিকও রয়েছে। অন্য এক সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘আমি কখনও মধুবালার প্রেমে পড়িনি। আমার কাছে ও ছিল দিলীপ কুমারের প্রেমিকা। আমি শুধু ওদের মধ্যে খবর পৌঁছে দিতাম। মধুবালাই আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিল।’