ব্যক্তিগত জীবন আর পেশাগত জগতকে আলাদা রাখতে পারলে ভালো। নিজের পরিজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায়। একই কথা আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে বলতে পারবেন না। কর্মজীবীদের দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে অফিসে। সেখানে কম-বেশি নানা গল্প হতেই পারে। অফিসের কেউ কেউ হয়ে ওঠেন পরম বন্ধু।
সহকর্মী থেকে যেন বন্ধুত্বের পরিমাণ বেড়ে যায় অনেকে বেশি। তাই তাঁর সঙ্গে শেয়ার করে বসেন অনেক কথা। কিন্তু এই কাজটি ভুলেও করবেন না। আপনার মনে রাখতে হবে সে আপনার সহকর্মীও। তাই তাঁর সঙ্গে কোন কথা একেবারেই বলা যাবে না জেনে রাখুন।
আর্থিক অবস্থা শেয়ার করবেন না: আপনার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে অফিসে কখনওই কারো সঙ্গে আলোচনা করবেন না। আপনার আয় কত? আপনার মাসে ব্যয় কত টাকা? সংসার চালাতে কত খরচ হয়? কোথায় কত টাকা সঞ্চয় রয়েছে, এ সব আলোচনা করবেন না। এসব কথা আপনাকে কোন এক সময় বিপদে ফেলে দেবে।
পরনিন্দা-পরচর্চা থেকে দূরে থাকুন: কাজের জায়গায় যে সবাইকে আপনার পছন্দ হবে, এমনটা নাও হতে পারে। আবার সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে আপনি একজনের সমালোচনা অন্য সহকর্মীর সঙ্গে করবেন না। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বস বা ম্যানেজারকে নিয়ে আলোচনা করতে যাবেন না। এতে আপনিই বিপদে পড়তে পারেন।
রাজনীতি নিয়ে আলোচনা: আপনার নিজস্ব একটা রাজনৈতিক আদর্শ থাকতেই পারে। সেটি হয়তো অনেক সময় সহকর্মীর সঙ্গে নাও মিলতে পারে। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি একদমই ঠিক নয়। আপনাদের দু’জনের বিশ্বাস, চিন্তাভাবনা আলাদা হতেই পারে। তাই এসব বিষয় আপনার কাজের জায়গায় আলোচনা করবেন না। এতে নষ্ট হতে পারে পেশাদার সম্পর্ক। একই ভাবে, ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়েও আলোচনা থেকে দূরে থাকুন।
নতুন চাকরি খোঁজার কথা: আপনি হয়তো নতুন চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু সেটা ভুলেও সহকর্মীকে বলতে যাবেন না। সে আপনার যতই কাছের হোক না কেন। এসব কথা দেখবেন মুহূর্তের মধ্যেই ফাঁস হয়ে যাবে। এক কান, দুই কান করে আসল জায়গায় পৌঁছে যাবে আপনার গোপন কথাটি। পরে আপনিই বিপদে পড়ে যেতে পারেন। তাই সতর্ক থাকুন।
সম্পর্কের টানাপোড়ন: ব্যক্তিগত জীবনে আপনি কী কী করছেন? দাম্পত্য জীবনে কীভাবে চলছে? এই ধরনের কোনো কথাই সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। এসব বিষয় নিয়ে আপনার পিছনে কেউ না কেউ সমালোচনা করবেই। কিংবা আপনার দুর্বলতা নিয়ে মজা করবে। তাই ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্ক যেমনই হোক, তা অফিসে আলোচনা একদম নয়।