কে-পপ জ্বরে আক্রান্ত এখন গোটা বিশ্ব। কোরিয়ান বিউটি পণ্য নিয়েও মাতামাতির শেষ নেই।কোরিয়ানদের গ্লাস স্কিন থেকে শুরু করে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন, কিমচির মতো বৈচিত্র্যময় খাবারদাবার প্রভৃতি নিয়েও মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। সবমিলিয়ে অনেকেরই ভ্রমণের ‘বাকেট লিস্টে’ দক্ষিণ কোরিয়ার নাম রয়েছে।
আপনারও যদি ভবিষ্যতে দক্ষিণ কোরিয়ায় ভ্রমণের ইচ্ছা থাকে, তাহলে দেশটি সম্পর্কে কয়েকটি মজার তথ্য জেনে রাখুন এখনই।
প্লাস্টিক সার্জারিতে শীর্ষে দক্ষিণ কোরিয়া
মনের সৌন্দর্যই আসল সৌন্দর্য, এই চিন্তা কোরীয়রা করে না। তাদের কাছে বাহ্যিক সৌন্দর্যও একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কোরিয়ানদের গ্লাস স্কিন নিয়ে এখন বিশ্বজোড়া মাতামাতি। এর পেছনে যতটা তাদের জীবনযাপন প্রণালি এবং খাদ্যাভ্যাস জড়িত, ততোটাই রয়েছে ব্যয়বহুল প্রসাধনীর অবদান।
দাগহীন, মসৃণ, পেলব ত্বক পেতে কোরিয়ান নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ডার্মাটোলজিস্টদের কাছে ছোটে! পশ্চিমা দেশগুলোকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ কোরিয়া তাই এখন প্লাস্টিক সার্জারি সম্পাদনের ক্ষেত্রে রয়েছে শীর্ষে।
তিনজনের মধ্যে একজন একা
দেশটির প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন বর্তমানে একা বাস করেন। এদের মধ্যে যেমন তরুণেরা রয়েছে, তেমনি ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধেরাও আছেন। নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এসব ব্যক্তিকে কোরীয় ভাষায় বলা হয় ‘হোনজোক’।
বকশিস দেওয়া অভদ্রতা
হোটেল, রেস্তরাঁ কিংবা ট্যাক্সি চালককে আমরা প্রায় সময় খুশি হয়ে টিপ বা বখশিস দিয়ে থাকি। কিন্তু এই কাজ দক্ষিণ কোরিয়ায় একেবারেই করতে যাবেন না। সেখানে এটি অভদ্রতা এবং অসম্মানজনক বলে বিবেচিত হতে পারে।
ফলের দাম আকাশচুম্বী
দক্ষিণ কোরিয়ায় আপেল, নাশপাতির মতো তাজা ফলের মূল্য অনেক বেশি। সেখানে একেকটি আপেলের দাম পড়ে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার ওয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০০ টাকারও বেশি! সাশ্রয়ী হওয়ায় কোরিয়ানদের মধ্যে তাজা ফলমূল খাওয়ার চেয়ে প্যাকেটজাত রামেন, নুডলস, সসেজ, ফলের রস খাওয়ার হার বেশি।
লাল কালিতে নাম নয়
দক্ষিণ কোরিয়ায় লাল কালিতে কোনো ব্যক্তির নাম লেখাকে মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। অতীতে কেউ মারা গেলে পারিবারিক রেজিস্টার বা অফিসিয়াল নথিতে লাল কালি দিয়ে মৃত ব্যক্তির নাম লেখা হতো। এখনও জীবিত কারও নাম লাল কালিতে লেখা হলে দুর্ভাগ্য এবং অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
‘৪’ মানেই বিপদ
কোরীয় ভাষায় ‘চার’ এবং ‘মৃত্যু’র উচ্চারণ অনেকটা কাছাকাছি। দেশটিতে ‘৪’ সংখ্যাটিকে তাই অপয়া এবং দুর্ভাগ্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। সেখানকার অনেক ভবনে তাই চতুর্থ তলা থাকে না; বাড়ি, সড়ক বা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাতেও শুধু ৪ এর পরিবর্তে ৪০৪, ৪৪৪ ইত্যাদি লেখা থাকে।
রক্তেই রোমান্টিকতা
কোরিয়ানদের মধ্যে রক্তের গ্রুপ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। তাদের ধারণা, বিশেষ কিছু রক্তের গ্রুপযুক্ত মানুষ অধিক রোমান্টিক হয়ে থাকে! প্রেমের সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের শুরুতেই তাই এরা পরস্পরের রক্তের গ্রুপ জেনে নেয়।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, রাসটিক পাথওয়েজ