সাত মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় থামছে না ইসরায়েলের হামলা। সমোঝোতা কিংবা যুদ্ধবিরতির কোনো আভাস নেই। গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ অবস্থায় হামলার মুখে রাফাহ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। মাত্র ১৪ দিনে ঘরবাড়ি ছেড়েছেন ৯ লাখের বেশি মানুষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গত দুই সপ্তাহে ৯ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। গত শনিবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেখানকার মানুষকে একাধিকবার ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর মানুষের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। সবকিছু ছেড়ে বারবার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়। বারবার নতুন করে জীবন শুরু করতে হয়।
এদিকে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও এর আশপাশে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর এসব হামলায় প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৫ হাজার ৫৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ৬৫২ জন।
আরও পড়ুন:
- 'পানি নিতে ১২-১৩ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে আসতে হয়'
- গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে: জাতিসংঘ
- লেবাননের পরিণতি হবে গাজার মতো, হুমকি নেতানিয়াহুর
- গাজায় ১০৪ মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরায়েল
- যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও ফিলিস্তিনিরা ভোলেনি প্রিয় পোষা প্রাণির কথা
- এক দিনে গাজার ৪৫০ জায়গায় হামলা করেছে ইসরায়েল
- আহত ফিলিস্তিনিদের সেবা করছেন ইসরায়েলি এক নারী
- ইসরায়েল-ইউক্রেনের সহায়তা বিল আটকে গেল মার্কিন কংগ্রেসে
- হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল
- গাজার স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২৫
- গাজায় যে শিশুদের পরিবারের কেউ বেঁচে নেই
- ইসরায়েলি কারাগার ফেরত ফিলিস্তিনি তরুণ শোনালেন নির্মম নির্যাতনের কথা
- ‘ভাইয়ের সাথে আমাকেও কবর দিয়ে দাও’