কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হলো ‘মিশন ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’। বুধবার প্রিমিয়ারের কিছুক্ষণ আগে একটি মাস্টারক্লাসে সিনেমাটির লেখক-পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারির সঙ্গে যোগ দেন অভিনেতা টম ক্রুজ নিজেও। তাঁর এই আশ্চর্যজনক উপস্থিতি নজর কাড়ে দর্শকের। প্যানেল চলাকালে পরিচালক মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ও টম ক্রুজকে নিয়ে কিছু সত্য ঘটনা তুলে ধরেন।
ম্যাককুয়ারি বলেন, ‘আজ রাতে আপনারা যখন টমকে দেখবেন, তখন একটা মুহূর্ত আসবে যখন তিনি একটি বিমানে থাকেন।’
যোগ করে বলেন, ‘তিনি একটি বাইপ্লেনে থাকেন, নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ একা, এবং তার বাইপ্লেনের কিছু ক্ষতি হয়। স্পয়লার, এই দৃশ্যে উত্তেজনা আছে।’
ব্যাখ্যা করে ম্যাককুয়ারি জানান, টম মূলত সেই বিমানে ক্রু হিসেবে কাজ করছিলেন, কারণ আফ্রিকান ভূদৃশ্য থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে, সেখানে তিনি একা ছিলেন। নির্মাতার ভাষ্য, ‘টম বিমানটিতে কীভাবে অবস্থান করছেন এবং সূর্যের সঙ্গে এর সম্পর্ক কতটা তা দেখিয়েছেন, এবং তিনি ক্যামেরার বাইরেও ফোকাস পরিচালনা করেছেন।’
এ সময় টমের সঙ্গে ম্যাককুয়ারির যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল রেডিও। একসময় ‘টপ গান’ অভিনেতা বিমানটির ডানায় বেরিয়ে আসেন, কিন্তু এমন কিছু না চেষ্টা না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন পেশাদার একজন উইং-ওয়াকার। সেই পরামর্শ শুনে নাকি টম উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আপনার সময়ের জন্য ধন্যবাদ।’ তবে এটা স্পষ্ট ছিল যে, টম স্টান্টটি করতে সক্ষম হবেন।
তবে টম যখন বিমানের ডানায় হাঁটছিলেন, তখন যোগাযোগের জন্য কেবল একটি সিগন্যাল ছিল। ম্যাককুয়ারি বলেন, ‘তার কাছে কোনো রেডিও নেই, যার অর্থ আমাকে আমার হেলিকপ্টারে করে টমের পাশে উড়তে হবে।’
এ সময় প্রতি ঘণ্টায় ১২০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের মুখোমুখি হয়েছিলেন টম ক্রুজ। ককপিটে বসে অক্সিজেন সংকটে ভুগছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্টান্টটি সফলভাবে শেষ করেন তিনি।
ম্যাককুয়ারির ভাষ্য, ‘আমরা দেখলাম টম নিজেকে টেনে ককপিটে মাথা আটকে রাখল, যাতে তিনি তার শরীরে অক্সিজেন পুনরায় পূরণ করতে পারে এবং তারপর ককপিটে উঠে বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করতে পারে। পৃথিবীর কেউ তা করতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৩ মে মুক্তি পাচ্ছে ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ৮ম কিস্তি মিশন ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং। এর আগে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়ে গেল ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে।