কর্মজীবী মানুষেরা যতটা সময় বাড়িতে কাটান, তার চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটিয়ে থাকেন অফিসে। পরিবারে যেমন সব সদস্য একরকম হন না, অফিসের সব সহকর্মীও ভিন্ন ধারার হবেন সেটাই স্বাভাবিক।
সহকর্মীদের কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, কারও সঙ্গে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আবার প্রায় সব অফিসেই এমন দুয়েকজন থাকেন, যাদের সঙ্গে সবারই ঝামেলা বেধে থাকে! এরা সাধারণত খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকেন এবং প্রায়ই অন্যদের মানসিক উদ্বেগের কারণ হন। এরা ছোটখাটো বিষয়েও জড়িয়ে পড়েন বাকবিতণ্ডায়।
এমন সহকর্মীদের উপস্থিতিতে কাজের পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, ব্যক্তিজীবনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমন পরিস্থিতি সামলাতে তাই উদ্যোগী হন নিজেই।
মেপে কথা বলুন
খিটখিটে বা বিরক্তিকর সহকর্মীর সঙ্গে যত কম যোগাযোগ করবেন ততোই ভালো। যতটুকু কথা বলবেন, মেপে বলুন। সবচেয়ে ভালো হয় কাজের কথা ব্যতীত অন্য কোনো আলোচনা না করা। তবে আপনি যে তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছেন, সেটি যেন তিনি বুঝতে না পারেন। নইলে আপনার জন্য সত্যিই ঝড় অপেক্ষা করছে!
প্রতিক্রিয়া হবে সীমিত
মাঝেমধ্যেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে, যখন আপনি তাকে মুখে মুখে জবাব দিয়ে ফেলবেন! কিন্তু এতে অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করবে। তার উদ্ধত ব্যবহার যদি একেবারেই সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন নিজে থেকে সরে আসুন। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন, লম্বা শ্বাস নিন। যতবার তিনি আপনার মনোযোগ পাওয়ার চেষ্টা করবেন, বা মেজাজ দেখাবেন, আপনি ততোবারই ভদ্রভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
প্রফেশনাল আচরণ বজায় রাখুন
কর্মস্থলে আপনার সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত আপনার কাজ। দিনের শুরুতেই কাজের তালিকা বানিয়ে নিন। কী কী কাজ করছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রাখুন। নিজের কাজ নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন। দেখবেন অন্য কারও আচরণ আপনার কাছে পাত্তাই পাবে না।
এইচআরের কাছে রিপোর্ট
সব ধরণের প্রচেষ্টার পরেও যদি দেখেন খিটখিটে সহকর্মীর ঔদ্ধত্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যাচ্ছে না এবং সাধারণ অফিসিয়াল কথা বলতে গেলেও আপনাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হন। সহকর্মী হিসেবে তিনি যদি আপনাকে প্রাপ্য সম্মান এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সক্ষম না হোন, তাহলে এইচআর তথা মানবসম্পদ বিভাগের কাছে আপনার অভিযোগ পেশ করুন। বাকি ব্যবস্থা তাঁরাই গ্রহণ করবেন।
তথ্যসূত্র: বেটার আপ