বর্তমানে গ্রীসে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে একটু সাবধান হওয়াই ভালো। দেশটি এখন একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি। দাবানল, ভূমিকম্প, চরম তাপদাহ আর হঠাৎ বন্যা। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, গ্রীসে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২ এপ্রিল তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘গ্রীসে ভূমিকম্প, দাবানল, তীব্র গরম এবং আকস্মিক বন্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।’
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা
গত মার্চেই ক্রিট দ্বীপে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, যা এই সময়ের জন্য একেবারেই অস্বাভাবিক। লিভাদিয়াতেও তাপমাত্রা উঠেছিল ৩১.৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিমান চলাচলে বিপর্যয়ের শঙ্কা
ফ্লাইট চলাচল এখনো স্বাভাবিক রয়েছে। তবে গ্রীসের বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনবল সংকট ও সক্ষমতার ঘাটতির কারণে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্ব হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
পর্যটকদের জন্য সতর্কবার্তা
দ্বীপগুলোর অনেক দোকান, রেস্তোরাঁ এমনকি কিছু দর্শনীয় স্থানও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে যারা এখন ভ্রমণে যাচ্ছেন, তারা অনেক কিছুরই স্বাদ নিতে পারবেন না।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি এখনো আছে
সান্তোরিনি ও অ্যামোরগোস দ্বীপের মাঝখানে এজিয়ান সাগর এলাকায় সম্প্রতি বেশ কিছু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সান্তোরিনির বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে সতর্কতা এখনও বজায় রাখা হচ্ছে।
কী করণীয়?
ভ্রমণকারীদের ‘১১২ গ্রিস’ অ্যাপ বা এক্সের (সাবেক টুইটার) অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করে সর্বশেষ আপডেট নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চাইলে দেশটির জরুরি বার্তা সেবায় নিবন্ধন করে তাৎক্ষণিক সতর্কতাও পাওয়া যাবে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দাবানলের মৌসুম, তাই সতর্ক থাকা জরুরি।
গ্রীসে এখন ভ্রমণ করা পুরোপুরি নিষেধ না হলেও, এটি ঝুঁকিপূর্ণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে। তাই যারা যেতে চান, তারা যেন সব ধরনের আপডেট সঙ্গে রাখেন, জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করেন এবং সম্ভাব্য বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকেন।
তথ্যসূত্র: আউটলুক ট্রাভেলার, টাইমস নাউ